RS 2000 Note: প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা খরচ, ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ ছাপা, উঠেই যাচ্ছে ২০০০ টাকার নোট

বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তত দিন পর্যন্ত লেনদেনে ২০০০ টাকার নোট ব্যবহার করা যাবে।

ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কগুলিকে বাজারে থাকা সমস্ত ২০০০ টাকার নোট পাল্টে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চাইলে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার মতো, ২০০০ টাকার নোটও জমা করা যাবে। তবে দুই ক্ষেত্রেই একবারে ২০ হাজার টাকার নোটই জমা বা পাল্টে নেওয়া যাবে।

২০১৬ সালে পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়। তার পরই বাজারে আনা হয় ২ হাজার টাকার নোট। ছ’বছর পর সেই টাকাও তুলে নেওয়া হচ্ছে। যদিও বেশ কিছু দিন আগেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এর আগে, RBI-এর তরফেই জানানা হয়েছিল যে, মোট ৩৬৫.৪ কোটি ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল। এক একটি নোট ছাপাতে খরচ পড়ে ৩.৫৪ টাকা।

সেই নিরিখে, ৩৬৫.৪ কোটি ২০০০-এর নোট ছাপাতে খরচ পড়ে ১,২৯৩.৬ কোটি টাকা। বাজারে এই মুহূর্তে ১৮১ কোটি ২০০০ টাকার নোট রয়েছে, সবমিলিয়ে যার বাজারমূল্য প্রায় ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকা।

সম্প্রতি ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা করলেও, ২০১৮ সালেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সমস্ত ব্যাঙ্ককে ২ হাজার টাকা ফেরত নেওয়ার সবরকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে RBI-এর তরফে। তা সত্ত্বেও যদি কোনও ব্যাঙ্ক টাকা ফেরত নিতে অস্বীকার করে, তাহলে কী করা উচিত, তাও জানানো হয়েছে ।

RBI জানিয়েছে, কোনও ব্যাঙ্ক যদি ২ হাজার নোট ফেরত নিতে অস্বীকার করে, প্রথমে ওই ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের কাছেই অভিযোগ জানাতে হবে গ্রাহকদের।

তাতে একমাসেও যদিও কোনও সুরাহা না হয়, RBI-এর কাছে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন তাঁরা। RBI-এর ইন্ডিগ্রেটেড ওম্বাডসম্যান স্কিম ২০২১-এর আওতায় RBI-এর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পোর্টাল, cms.rbi.org.in-এর গিয়ে অভিযোগ জানানো যাবে।

২০২১ সালের ১২ নভেম্বর এই পরিষেবা চালু করা হয়। এর আওতায় ব্যাঙ্কের পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকদের অভাব-অভিযোগ শোনে RBI এবং তা থেকে বেরিয়ে আসার, সমাধানসূত্র বের করার প্রচেষ্টা চালানো হয়।