Dashavtar Incarnation Cards: দেখুন, বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের ঐতিহ্যবাহী ‘দশাবতার তাস’
মন্দির-নগরী বিষ্ণুপুর। বাংলার অন্যতম প্রাচীন এই শহরে আজও মল্ল রাজবংশের নিদর্শন দেখা যায়। টেরাকোটার মন্দিরগুলি বিষ্ণুপুরের প্রধান আকর্ষণ। রাসমঞ্চ, শ্যামরায় মন্দির, রাধামাধব মন্দির, কালাচাঁদ মন্দির, জোড়বাংলা, মদনমোহন মন্দির, রাধাগোবিন্দ মন্দির বাংলার সুপ্রাচীন শিল্পকলার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদশাবতার তাসের সঙ্গে বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িয়ে। এই তাস নিয়ে এখন নতুন করে মানুষের আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। এতে খুশি ফৌজদার পরিবার।
বাঁশরীবাবুর মেয়ে সুইটি রাজ্যস্তরের কারুশিল্প প্রতিযোগিতায় শিল্প বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। তাঁরা বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই তাস বাঁচিয়ে রাখতে চান। বাজারে নকল তাস ছেয়ে যাওয়ায় তাঁরা হতাশাও প্রকাশ করেছেন।
তবে মন্দিরই বিষ্ণুপুরের একমাত্র আকর্ষণ নয়। এই শহরে আরও অনেক আকর্ষণীয় বিষয় আছে। সেগুলির অন্যতম হল ‘দশাবতার তাস’।
কার্তিক সূত্রধরের বংশধর বাঁশরী ফৌজদার জানিয়েছেন, তাঁরা বংশানুক্রমে এই তাস তৈরি করে চলেছেন।
বাঁশরীবাবুর স্ত্রী, মেয়ে সহ পরিবারের সবাই তাস তৈরি করেন।
বাঁশরীবাবু আরও জানিয়েছেন, কার্তিক সূত্রধর মল্লরাজার সেনাপ্রধান হিসেবে দক্ষতা অর্জন করায় ফৌজদার পদবী পান। সেই থেকেই তাঁর পরিবারের পদবী ফৌজদার।
এতবছর পরেও ‘দশাবতার তাস’ গুরুত্ব হারায়নি। বাঁশরীবাবু জানিয়েছেন, আরও অনেকে এখন এই তাস তৈরি করছেন। তবে সেই তাস আসল নয়।
মল্লরাজা জগৎমল্লর নির্দেশে এই তাস তৈরি করেন তাঁর সেনাবাহিনীর প্রধান কার্তিক সূত্রধর। প্রথমে ১২০ ও ৪৮ সেটের তাস তৈরি করেন তিনি। পরে আরও নানা সেটের তাস তৈরি হয়। রাজারা তাস খেলতেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -