মন্ত্রে, উপচারে পূজিতা সাহেবা খাতুন; অনন্য নজির রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে
'মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম' কবিতার এই লাইনের আক্ষরিক অর্থেই বাস্তবায়ণ। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মেতেছে শহর তথা জেলা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appভেদাভেদ হানাহানি ঘুছিয়ে ঘরে এসেছেন উমা। চলছে দেবী বন্দনা। আর সেই মহাষ্টমীর সকালে সম্প্রীতির নজির গড়ল চুঁচুড়ার ঝিঙেপাড়ার সারদা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম।
সব এমন এক সময় বা এমন জায়গা যেখানে ধর্মের ভেদাভেদ ধুয়েমুছে একাকার হয়ে যায়। কে হিন্দু, কে মুসলমান, সেই হিসেব কেউ রাখে না। কেবল নিজেকে উজাড় করে একে অন্যের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠে।
এ বছরের পুজোতে সেই উদাহরণই আরও একবার তুলে ধরল চুঁচুড়ার এক আশ্রম। দুর্গাপুজোয় মহাষ্টমীর যে রীতিনীতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কুমারী পুজো।
এদিনও নিয়ম মেনে সর্বত্র কুমারীপুজো সম্পন্ন হয়েছে। এখানেই এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করল চুঁচুড়ার ঝিঙেপাড়ার সারদা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম। সেখানে কুমারী রূপে পুজো করা হল এক মুসলমান কন্যাকে।
বছর আটেকের কুমারী সাহেবা খাতুনকে আজ কুমারী রূপে পুজো করা হয়।
জানা গিয়েছে, রেবাবিগত চার বছর ধরে তাঁর বড় দিদিকেও কুমারী রূপে পুজো করা হয়েছে।
কথিত আছে, কুমারীর মধ্যে মা দুর্গা অধিষ্ঠান করেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে মুনি-ঋষিরা কুমারীর মধ্যে প্রকৃতিকে দেখতে পেতেন, প্রকৃতি মানে নারী। সেই কুমারী থেকেই মা দুর্গার আবির্ভাব হয়।
বেলুড় মঠে স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন। বেলুড় মঠ ও তাদের শাখাগুলিতে নিয়ম মেনে কুমারী পুজো হয় অষ্টমীতে।
এ প্রসঙ্গে চুঁচুড়া মঠের মহারাজের কথায়, 'আমরা রামকৃষ্ণের মতে পুজো করি। তাই আমরা ধর্মের বিভেদ করিনা।'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -