Durgapur Drinking Water Row: দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকায় রাস্তায় স্তুপীকৃত প্রায় দেড় হাজার জলের পাউচ! হাহাকারের সময় কেন বন্টন করা হয়নি? ক্ষোভ
গোটা ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেছে বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের দাবি, কাটমানি থাকলে তৃণমূল আগ্রহী হত। মানুষের সঙ্গে সংযোগ নেই ওদের। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ রাজনীতি বোঝেন না। তাঁদের একটাই প্রশ্ন, এত জল মজুত থাকতে কেন বণ্টনে গাফিলতি করা হল? কেন এত জলকষ্ট ভোগ করতে হল। উত্তর চাইছেন তাঁরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদুর্গাপুর সিটি সেন্টার হাউজিং সোস্যাইটির কার্যকরী সভাপতি পীযুষ মজুমদারের দাবি, পুরসভার কাউন্সিলার, নেতা তখন জল বন্টন করে। আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। কেন নষ্ট হয়েছে, তারাই বলতে পারবে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের ওপর দায় ঠেলেছে তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর পুরসভা। মেয়র পারিষদ (জল)পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ট্যাঙ্কারে করে জল পাঠাই। পাউচ প্যাকেটে জল জেলা প্রশাসনের তদারকিতে বণ্টন হয়। সেটা আমাদের দায়িত্ব ছিল না। কেন নষ্ট হল, প্রশাসন বলবে। পুরসভা এব্যাপারে কিছু বলতে পারবে না। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অর্ঘ্যপ্রসূণ কাজি বলেন, ব্যবস্থা নেব। গাফিলতি কাদের তদন্ত হবে।
গত ৩১ অক্টোবর, হঠাত্ ভেঙে যায় দুর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নম্বর লকগেট। বন্ধ হয়ে যায় জল পরিষেবা। চরম জলকষ্টের মুখে পড়ে দুর্গাপুরবাসী। এত জল মজুত থাকলেও, তা বন্টন করা হয়নি কেন? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাল বাসিন্দাদের একাংশ। পুরসভা ও প্রশাসনের ওপর গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের হাউজিং সোশ্যাইটির পিছনে পড়ে রয়েছে স্তুপীকৃত জলের পাউচ। মাটিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে প্রায় হাজার-দেড় হাজার পানীয় জলের প্যাকেট। এই পানীয় জলের জন্যই মাস দুয়েক আগে হাহাকার পড়ে যায় পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে।
একসময় যে জলের জন্য হাহাকার, সেই জলের অপচয় হতে দেখে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
দুর্গাপুরে ব্যারাজ বিপর্যয়ের পর জলের সঙ্কট মেটাতে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের তরফে পাঠানো হয় পানীয় জলের পাউচ। সেই হাজার-দেড় হাজার পাউচ পড়ে রয়েছে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -