Amitabh Bachchan: ঘটি-বাটি বিক্রির উপক্রম হয়েছিল, পাওনাদারের লাইন পড়ত বাড়ির বাইরে, স্মরণ করলে আজও যন্ত্রণা ফুটে ওঠে অমিতাভের মুখে
ভারতীয় চলচ্চিত্রের মহাতারকা তিনি। শুধু নাম দেখেই টিকিট বিকোয় হইহই করে। অথচ সেই অমিতাভ বচ্চনি একসময় দেনার দায়ে ডুবে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে কী কী করতে হয়েছিল ‘বিগ বি’-কে জেনে নিন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজীবনে কোনও কিছুই থেমে থাকে না। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আরও বেশি পরিবর্তনশীল। কারও জন্য কিছু আটকায় না। সেই ইন্ডাস্ট্রির ‘শাহেনশাহ্’ হয়ে আজও টিকে রয়েছেন অমিতাভ।
পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি হোক বা বিজ্ঞাপন, অথবা টেলিভিশনে রিয়্যালিটি শো, তাঁর নামই সাফল্যার চাবিকাঠি হাতে তুলে দেয়। বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছয়নি দেশের যে প্রান্তিক অঞ্চলে, সেখানেও তাঁর গলা একডাকে চেনেন সকলে।
কিন্তু এ অমিতাভই এক সময় গলা পর্যন্ত দেনায় ডুবে গিয়েছিলেন। কয়েক লক্ষ বা কয়েক কোটি নয়, তাঁর মাথার উপর ছিল ৯০ কোটি টাকার দেনা। সেই পরিস্থিতি থেকে কী ভাবে বেরিয়ে আসেন জানান অমিতাভের ঘনিষ্ঠ পরিচালক সুনীল দর্শন।
একবার এক সাক্ষাৎকারে সুনীল জানান, অভিনয়ে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন অমিতাভ। সমস্ত গর্ব, অভিমান বিসর্জন দিয়ে তাই খোদ যশ চোপড়াকে ফোন করেন কাজ চাইতে। তাঁর কাজের প্রয়োজন জানান সকলকে, তাতেই ‘মহব্বতেঁ’, ‘কভি খুশি কভি গম’-এর মতো ছবি পান হাতে।
সুনীল আরও জানান, ‘এক রিস্তা’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় জুহি চাওলা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তার জন্য ছবির শ্যুটিং পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন তিনি। কিন্তু অমিতাভ জানান, তিনি ওই পরিস্থিতিতেও কাজ করতে প্রস্তুত।
একই ভাবে সুনীল জানান, দুই শিফ্টে কাজ করতেন অমিতাভ। সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত একটি শিফ্ট করতেন। তার পর সন্ধে ৭টা থেকে পরের দিন দুপুর ২টো পর্যন্ত আরও একটি শিফ্টে শ্যুটিং করতেন অমিতাভ।
১৯৯৯ সালে নিজের প্রযোজনা সংস্থা অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠা করেন অমিতাভ। কিন্তু লাভের মুখ তো দেখেইনি তাঁর সংস্থা, বরং দেনার দায় চাপে তাঁর মাথার উপর। সেই সময় প্রায় ৯০ কোটি টাকার দেনা মাথায় চাপে।
সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে অমিতাভ জানিয়েছিলেন, একবারে সব টাকা মিটিয়েছিলাম। দেনার টাকার উপর সুদও চাইছিল ওরা। দিতে না পেরে, তার বিনিময়ে ওদের হয়ে বিজ্ঞাপনে কাজ করি। সেই সময় বাড়ির বাইরে সারা ক্ষণ টাকা আদায়ের জন্য লোক দাঁড়িয়ে থাকত, দিতে না পারলে গালাগালিও শুনতে হতো বলে জানান অমিতাভ।
আজও সেই অভিজ্ঞতা ভোলেননি অমিতাভ। তাই রাজনীতি বা ব্যবসা নিয়ে দ্বিতীয় বার ভাবেননি কখনও। ছেলেমেয়েকেও সে দিকে ঘেঁষতে দেননি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -