Salman Khan: সশস্ত্র পুলিশের সঙ্গে থাকবে কম্যান্ডোও, প্রাণের ঝুঁকি থাকায় বাড়ল সলমনের নিরাপত্তা
প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে সলমন খানের। আগেই এই খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এ বার কার্যতই নড়েচড়ে বসল মহারাষ্ট্র সরকার। বাড়ানো হল অভিনেতার নিরাপত্তা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমুম্বই পুলিশের তরফে সলমনকে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। একধাপে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা বাড়ল সলমনের। প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়ে যাওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে সলমনকে এক্স ক্য়াটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হতো। অনুপম খের এবং অক্ষয় কুমারও এক্স ক্যাটেগরির পান।
এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তায় ১২ জন সশস্ত্র পুলিশ সারা ক্ষণ সঙ্গে থাকা নিয়ম। ওয়াই ক্য়াটেগরির ক্ষেত্রে সশস্ত্র পুলিশের পাশাপাশি থাকবে কম্যান্ডোও।
এ বছর জুলাই মাসে প্রথম সলমনের প্রাণহানির ঝুঁকি রয়েছে বলে খোলসা করে মুম্বই পুলিশ। পঞ্জাবে গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যার নেপথ্যে যে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-এর যুক্ত থাকার তথ্য সামনে এসেছে, তাদের হিটলিস্টে সলমনও ছিল বলে জানা যায়।
গ্য়াংস্টার লরেন্স এই মুহূর্তে জেলবন্দিই। কিন্তু জেলে বসেই তিনি সবকিছুর পরিকল্পনা করেন বলে জানা যায়। তাঁর নির্দেশেই মুসেওয়ালাকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে হাঁটতে বেরিয়ে খানিক ক্ষণ জিরিয়ে নেওয়ার অভ্যাস রয়েছে সলমনের বাবা সেলিম খানের। যে বেঞ্চে বসে জিরোন তিনি, তাতেই সলমনের নামে হুমকির চিঠি পান।
ওই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘সেলিম খান, সলমন খান, খুব শীঘ্র আপনাদের ভবিতব্যও সিধু মুসেওয়ালার মতো হবে’। কাগজে জিবি এবং এলবি বলে নামের আদ্যাক্ষরও লেখা ছিল, যা আসলে লরেন্স এবং কানাডা নিবাসী তাঁর সহযোগী গোল্ডি ব্রারের নামের আদ্য়াক্ষর বলে দাবি করে মুম্বই পুলিশ।
এর পর দিল্লি পুলিশের তরফেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। জানানো হয়, সলমনকে হত্যার ছক ছিল লরেন্স গ্যাং-এর। তার জন্য সলমনের অধীনে কর্মরত লোকজনের সঙ্গে বন্ধুত্বও গড়ে তুলতে উদ্য়োগী হয় তারা। সলমনের খামারবাড়ির আশেপাশেও আনাগোনা শুরু করে। হুমকির চিঠির কথা যদিও অস্বীকার করেছেন লরেন্স, তবে কয়েক বছর আগে সরাসরি সলমনকে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। চিঙ্কারা হরিণ শিকার মামলায় সলমনের ভূমিকার কথা তুলে ধরে, প্রকাশ্যেই খুনের হুমকি দিতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।
হরিণ শিকার মামলায় সলমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ যদিও প্রমাণিত হয়নি। ২০১৬ সালে তাঁকে মুক্তি দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট। আদালত জানায়, সলমনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকে ছোড়া গুলি থেকে হরিণটির মৃত্যু হয়, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -