ডাকাত সর্দারের নামে নামকরণ, মানবপাচার মামলায় জেল, আসমুদ্র হিমাচল মাতানো দালের মেহন্দি এখন বিস্মৃত
পুজো মণ্ডপ হোক বা বিয়েবাড়ি অথবা হাইপ্রোফাইল পার্টি, একসময় তাঁর গান ছাড়া চলত না কারও। নামটিও ছিল নজরকাড়া। তাই সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে অসুবিধা হয়নি দালের মেহন্দির। কিন্তু একই সঙ্গে একের পর বিতর্কেও জড়িয়েছেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৮ অগাস্ট জন্মদিন দালের মেহন্দির। শোনা যায়, দালের সিংহ নামের এক ডাকাত সর্দারের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন তাঁর বাবা-মা। তাই ছেলের নাম দালের রাখেন তাঁরা।
বিহারের পটনায় জন্ম দালের মেহন্দির। তাঁর গাওয়া ‘তারা রা রা’ আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে। সমসাময়িক গায়কদের থেকে গলার ধরনও ছিল আলাদা। তাই প্রথম গান থেকেই অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
পরভেজ মেহন্দির অন্ধ অনুরাগী ছিলেন দালের। তাই নামের পর মেহন্দি বসিয়ে নেন। পাঞ্জাবী গানের জগতে দালেরের হাত ধরেই পরিবর্তনের জোয়ার আসে।
গান শিখতে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি দালেরকে। রাহত আলি খানের থেকে প্রশিক্ষণ নেন দালের। তার জন্য ১১ বছর বয়সে বাড়ি পর্যন্ত ছাড়েন।
দালেরের গাওয়া গানের মধ্যে ‘তুনক তুনক তুন’, ‘হো জায়েগি বল্লে বল্লে’ এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে তার দৌলতে বিদেশ-বিভুঁইয়েও শো করার ডাক পান তিনি।
কিন্তু বিদেশে অনুষ্ঠান করে মোটা টাকা অর্জন করলেও, তা জীবন বদলে দেয় তাঁর। কলা-কুশলীদের নিয়ে শো করতে যাওয়ার নামে তিনি আসলে মানবপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ ওঠে, আমেরিকা, কানাডার মতো দেশে বেআইনি ভাবে ভারতীয়দের ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য মোটা টাকা আয় করতেন দালের।
২০০৩ সালে দায়ের হওয়া এমনই একটি মামলায় এই মুহূর্তে জেলবন্দি দালের। দিল্লির পাটিয়ালা কোর্ট তাঁকে দু’বছরের সাজা শুনিয়েছে। এমনকি টাকা নিয়েও দালের এবং তাঁর ভাই শামসের মেহন্দি বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন করেননি বলে ৩০টি মামলা জমা পড়ে।
দালের যদিও বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তাঁকে ফাঁসানোর জন্যই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। মামলার নিষ্পত্তি করতে পুলিশ দেড় কোটি টাকা ঘুষ চায় বলেও দাবি করেন। ভাই শামসেরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বলে জানান।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -