এক্সপ্লোর
Govinda Divorce Buzz: নীলম-দিব্যা-রানি…অন্য নারীতে আকর্ষণের কথা মেনেছিলেন গোবিন্দ, স্ত্রী ডিভোর্সের নোটিস পাঠালেন?
Sunita Ahuja-Govinda Marriage: কয়েক মাস আগেই সুনীতা গোবিন্দকে নোটিস ধরিয়েছেন বলে খবর। খবর অস্বীকার করেননি গোবিন্দ।
-ফাইল চিত্র।
1/14

বয়স ৬০ পার করেছে একজনের। একজন ৬০-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। দীর্ঘ ৩৭ বছর ঘর করেছেন একসঙ্গে। কিন্তু এই মুহূর্তে টালমাটাল বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা আহুজার দাম্পত্য।
2/14

বেশ কিছু দিন ধরেই তারকা দম্পতির বৈবাহিক জীবন নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে সুনীতার সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য। এখন শোনা যাচ্ছে গোবিন্দাকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন সুনীতা।
3/14

কিন্তু গোবিন্দ এবং সুনীতার সম্পর্ক কোনও দিনই মসৃণ ছিল না। সুনীতার সঙ্গে দাম্পত্য লুকনো থেকে, বিবাহিত অবস্থায় অন্য নারীর প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়া, বার বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন গোবিন্দ।
4/14

গোবিন্দের সঙ্গে যাঁকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয় তিনি হলেন নয়ের দশকের নায়িকা নীলম কোঠারি। কেরিয়ারের শুরুতে গোবিন্দ এবং নীলমের জুটি পছন্দ হয় দর্শকের। একসঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তাঁরা। বিদেশে বেড়ে ওঠা নীলমের আদবকায়দা মনজয় করে নেয় গোবিন্দের। শোনা যায়, নীলমেরও সেই সময় গোবিন্দকে ভাল লাগতে শুরু করে। অথচ সুনীতার সঙ্গে গোবিন্দের বাগদান হয়ে গিয়েছিল তত দিনে। নীলমের কাছে বিষয়টি পুরোপুরি চেপে যান গোবিন্দ।
5/14

সেই সময় Stardust-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারেও নিজের অনুভূতি খোলাখুলি প্রকাশ করেন গোবিন্দ। তিনি বলেন, ‘ও (নীলম) এমন একজন নারী, যিনি যে কোনও পুরুষের মনে জায়গা করে নিতে পারেন। ওকে যত দেখেছি, জেনেছি, আরও বেশি ভাল লাগতে শুরু করে’।
6/14

নীলমের প্রতি তাঁর অনুরাগ যে সুনীতার সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল, তাও স্বীকার করে নেন গোবিন্দ। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘আমি সারাক্ষণ ওর (নীলম) প্রশংসা করতাম, আমার বন্ধুবান্ধব, পরিবারের লোকজন তো বটেই, সুনীতার কাছেও। নীলমের মতো হতে বলতাম সুনীতাকে। সত্যিই ক্ষমা করা যায় না। সুনীতা বিরক্ত হতো। আমি নীলমকে ভালবেসে ফেলেছি বলে মন্তব্য করত। আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। কী বলব বুঝে উঠতে পারতাম না’।
7/14

গোবিন্দ অভিনয়ে আসার আগেই সুনীতার সঙ্গে বাগদান হয়ে গিয়েছিল তাঁর। ১৯৯৭ সালের ১১ মার্চ মন্দিরে বিয়ে সারেন তাঁরা। চার বছর সেই বিয়ের কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন গোবিন্দ। মেয়ের জন্মের পরই তাঁর বিয়ের কথা সামনে আসে।
8/14

কিন্তু গোবিন্দ নিজেই স্বীকার করেন, তিনি সমকক্ষ কাউকে স্ত্রী হিসেবে চেয়েছিলেন। নীলমের সঙ্গে তাঁর আচরণ যে ঠিক ছিল না, তাও স্বীকার করে নেন গোবিন্দ। বলেন, ‘হিসেব কষেই সুনীতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলাম আমি। তার মূল্যও চোকাতে হয়েছে আমাকে। নীলমের সঙ্গেও ঠিক আচরণ করিনি। পেশাগত ফায়দার জন্য ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ছেলেখেলা করেছি। আমি যে বিবাহিত, তা ওকে জানানো উচিত ছিল’। একসময় সুনীতার সঙ্গে বাগদানও ভেঙে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন গোবিন্দ। সুনীতাকে চলে যেতে বলেছিলেন। নীলমকে বিয়ে করবেন ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু নীলম অভিনয় ছেড়ে সেই সময় তাঁকে বিয়ে করবেন না, তা বুঝতে পেরেছিলেন। শেষ পর্যন্ত সুনীতাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনের দিকেই এগোন।
9/14

নীলমকে নিয়ে গোবিন্দ বলেন, ‘নীলম বুদ্ধিমতি মেয়ে। বুদ্ধিমান, প্রতিষ্ঠিত, সুপুরুষ কাউকে স্বামী হিসেবে চাইত। আমি তা ছিলাম না। ও উচ্চবিত্তি পরিবারের মেয়ে, আমি দেহাতি, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর বাসিন্দা। বিয়ে হলেও হয়ত টিকত না। নীলমও হয়ত সেটা বুঝতে পেরেছিল’। নীলম যদিও গোবিন্দের সঙ্গে সম্পর্কের কথা কখনও স্বীকার করেননি।
10/14

তবে শুধু নীলমই নন, একসময় দিব্যা ভারতীর প্রতিও ভাললাগা জন্মায় গোবিন্দের। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। যা হওয়ার, তা হবেই। আমার জুহিকে (চাওলা) ভাললাগে, দিব্যা ভারতীকেও। দিব্যা খুব আকর্ষণীয়। যে কোনও পুরুষের পক্ষেই সংযম রাখা মুশকিল। আমি জানি সুনীতা আহত হবে। কিন্তু ওকে বুঝতে হবে, আমি দিব্যার আকর্ষণের সামনে সংযম রাখার চেষ্টা করছি। এখনও পর্যন্ত সংযম হারাইনি। হতে পারে ফের কারও সঙ্গে জড়াতে পারি। হয়ত বিয়ে করতে পারি তাঁকে। সুনীতার প্রস্তুত থাকা উচিত। তখনই মুক্ত মনে করব নিজেকে। আমার কুণ্ডলীতে দ্বিতীয় বিয়ের যোগ রয়েছে’।
11/14

এর পর রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও নাম জড়ায় গোবিন্দের। বিদেশে শ্যুটিং চলাকালীন রানি এবং গোবিন্দ পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন বলে শোনা যায়। এমনকি রানিকে গোবিন্দ ফ্ল্যাট-গাড়িও উপহার দিয়েছিলেন বলে সামনে আসে। সেই নিয়ে সুনীতার সঙ্গে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। শোনা যায়, তার জেরেই রানির সঙ্গে আর কোনও ছবিতে দেখা যায়নি গোবিন্দকে।
12/14

সময়ের সঙ্গে বলিউডে গোবিন্দের জৌলুস কমত থাকে। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি থিতু হতে শুরু করেন বলে মনে করতে শুরু করেন সকলে। কিন্তু নতুন করে তাঁর ব্য়ক্তিগত জীবন নিয়ে এই মুহূর্তে জোর চর্চা চলছে। এর নেপথ্যে সুনীতার কিছু মন্তব্য ফের একবার জল্পনার আগুনে ঘি ঢেলেছে।
13/14

সম্প্রতি প্রেম দিবসে সুনীতাকে বলতে শোনা যায়, “স্যর (গোবিন্দ) নিজের ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে আছেন।” পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, “গড়বড় কোরো না। কাজকে ভালবাসেন উনি। কাজই ওঁর ভ্যালেন্টাইন।” গত ১২ বছর ধরে তিনি একা একা নিজের জন্মদিন পালন করে আসছেন বলেও মন্তব্য করেন সুনীতা। সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করলে কিছু করার থাকে না বলেও জানান তিনি। নিজেকে একাকী মনে হয় বলেও জানান।
14/14

এখন জানা যাচ্ছে, কয়েক মাস আগেই গোবিন্দকে বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন সুনীতা। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া তার পর থেকে এগোয়নি। এ নিয়ে গোবিন্দের আইনজীবী জানিয়েছেন, আইনি নোটিসের কথা তাঁরাও শুনেছেন। কিন্তু এখনও হাতে পাননি। তিনি এখন কাজ নিয়ে ব্যস্ত বলে জানিয়েছেন গোবিন্দ। ভাগ্নে কৃষ্ণা অভিষেক যদিও বিশ্বাস করেন, এত সহজে সম্পর্কে ভাঙবে না।
Published at : 25 Feb 2025 09:06 PM (IST)
আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement






















