Ali Fazal Richa Chadha Wedding: ‘আমি সময়, তুমি শৃঙ্খল’, নবাবের শহরে জীবনের অঙ্গীকার, ‘প্রাপ্তি-স্বীকার’ আলি-রিচার
কোনও একদিন চোখাচোখি। তার পর কাছাকাছি, পাশাপাশি। এ বার হাতেহাত রেখে চলা। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন আলি ফজল এবং রিচা চাড্ডা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমায়ানগরীর রঙিন দুনিয়ায় সম্পর্ক ক্ষণভঙ্গুর। ঝাঁ চকচকে শহরের প্রান্ত ছোঁয়ামাত্র যে ভাবে ভেঙে খানখান হয়ে যায় আরব সাগর, ভাঙা সম্পর্কের আঘাতে চুরমার হয়ে যান কতশত মানুষ।
সাফল্যে মাথা ঘুরে ভেঙে খানখান হয়ে যেতে পারতেন তাঁরাও। কিন্তু টুকরো টুকরো জুড়ে পরস্পরকেই আশ্রয় করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পেরিয়েছেন সব ঘাত-প্রতিঘাত। তাই জীবনের গতিপথও এক থাকল আলি ফজল এবং রিচা চাড্ডার।
অসম্ভব সুদর্শন, মুখচোরা নায়ক। আর নির্ভীক, ডাকাবুকো নায়িকা। সম্পর্ক আদৌ টিকবে কি না সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। বিশেষ করে আলি যখন হলিউড পাড়ি দিলেন। আর সম্ভাবনা জাগিয়েও, নায়িকা নয়, অভিনেত্রী হয়ে থেকে গেলেন রিচা।
তার উপর অর্থনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক বেড়াজালও কম ছিল না। কিন্তু মুখবুজেই সবকিছুর মোকাবিলা করেছেন দু’জনে। লোকসমক্ষে সস্তার প্রচারে না গিয়ে, নিভৃতে পরখ করে নিয়েছিলেন পরস্পরকে। তাই সুতো আলগা হওয়ার বদলে, যত সময় এগিয়েছে, ততই ভিত মজবুত হয়েছে সম্পর্কের।
অস্থির, অনিশ্চিত জীবনে এই নিশ্চয়তাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, মেনে নিয়েছেন আলিও। তাই মঙ্গলবার নবাবের শহর লখনউয়ে চার হাত এক হওয়ার পর নববিবাহিত স্ত্রীকে সেই নিশ্চয়তাই জুগিয়েছেন তিনি। কবিতার আকারে লিখেছেন, ‘এক দউর হাম ভি হ্যায়, এক সিলসিলা তুম ভি হো’।
সোজা-সাপটা বাংলায় তর্জমা করলে আলির বক্তব্য দাঁড়ায়, ‘আমি সময়, তুমি শৃঙ্খল’। সময়ের মতো তিনি বয়ে যেতে চাইলেও, শৃঙ্খল হয়ে রিচা ধরে ফেলবেন, হয়ত সেই নিশ্চয়তার কথাই উঠে এসেছে আলির কথায়। কোথাও যেন বাঁধা পড়ে থাকতেই চাওয়ারই বাসনা।
রিচা যদিও বরাবরের মতোই, সোজা-সাপটা। কোনও রাখঢাক না করে, আবেগে ভেসে না গিয়ে নিজের অধিকারটাই বুঝে নিয়েছেন তিনি। তাই প্রেমিক থেকে স্বামীতে উত্তীর্ণ আলির উদ্দেশে তিনটি শব্দ খরচ করেছেন, ‘তোমাকে পেয়ে গেলাম’।
তবে পরস্পরকে নিয়ে যে কখনও মনে কোনও ধন্দ ছিল না, তা ঢের আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন আলি এবং রিচা। জাঁকজমক করে বিয়ে করবেন, ভেবে রেখেছিলেন অনেক আগেই। তাই সব ঠিক করেও এগোচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় অতিমারি।
পৃথিবী ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার দিকে এগোতে শুরু করলে তাই আর দেরি করেননি তাঁরা। রাজস্থান, দিল্লি হয়ে নবাবের শহর লখনউতে অওয়ধি সংস্কৃতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন দু’জনে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -