Mahishasuramardini: কোভিড আতঙ্কের মধ্যেই টানা কাজ, কেমন ছিল 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা?
যখন 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী'-র শ্যুটিং হয়েছে, তখন ভরপুর কোভিড। তার মধ্যেই শ্যুটিং চলেছে ছবির। কলকাতা থেকে যাতায়াত, সুরক্ষাবিধি মেনে শ্যুটিং, সব মিলিয়ে গোটা সফরটাই মনে রাখার মতো হয়ে থাকবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)-র কাছে
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএবিপি লাইভের সঙ্গে মহিষাসুরমর্দ্দিনীর সফর থেকে শুরু করে সমাজে মেয়েদের অবস্থান, ঋতুপর্ণার চোখে সবটা..।
'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' মেয়েদের লড়াইয়ের কথা বলে। ব্যক্তি ঋতুপর্ণাকে কী কী লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হয়? নায়িকা বলছেন, 'আমার কাছে প্রত্যেকটা দিন একটা নতুন লড়াই।'
ঋতুপর্ণা বলছেন, 'আমার জীবনে ২টো জিনিস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। লড়াই আর লড়াইয়ের মাধ্যমে পাওয়া সাফল্য। আমি অবশ্য চাই না কোনও জিনিস আমার কাছে খুব সহজে আসুক। লড়াই করে যে সাফল্য পাওয়া যায় তার স্বাদই আলাদা হয়।'
ঋতুপর্ণা বলছেন, 'কিছু লড়াই ভীষণ অনর্থক বলে মনে হয়। সেটা না লড়লেও হয়তো হত। প্রয়োজন ছিল না। আমি মনে করি, আমি ভীষণ ইতিবাচক চিন্তা করতে পছন্দ করি। মানুষকেও ইতিবাচক ভাবতে সাহায্য় করি। তাই হয়তো আমার ওপর আরও বেশি দায়িত্ব বর্তায়।'
ঋতুপর্ণা বলছেন, 'ঋতুপর্ণার সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিল 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী'? অভিনেত্রী বলছেন, 'যখন এই ছবির শ্যুটিং করেছি তখন কোভিডকে বেশ আক্রান্ত হচ্ছিলেন মানুষজন। '
ঋতুপর্ণা বলছেন, 'আতঙ্কটাও কাটেনি। ঝুঁকি নিয়েই শ্যুটিং করেছিলাম। এই কাজটা রঞ্জনের স্বপ্নের কাজ। আমরা সবাই মিলে লড়াই করেই এই ছবিটাকে দাঁড় করিয়েছি। আশা করছি মানুষের মন ছুঁয়ে যাবে ছবিটা।'
২৫ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে রঞ্জন ঘোষের পরিচালিত ছবি 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী'। ঋতুপর্ণা ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) ও পরমব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee)।
একাধিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ইতিমধ্য়েই সম্মানিত হয়েছে এই ছবি। একটা রাতের গল্প বলে এই ছবি, লোকেশনেও খুব একটা চমক নেই। কিন্তু ছবির শ্যুটিং বোধহয় অতটা সহজ ছিল না।
এই ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এবিপি লাইভকে শাশ্বত বলেছিলেন, ' 'এই ছবির শ্যুটিং যখন চলছে, তখনও কোভিড আতঙ্ক কাটেনি। আমরা অভিনেতা অভিনেত্রীরা শ্যুটিংয়ে মাস্ক পরে থাকতে পারতাম না। মেকআপ হয়ে গেলে আর মাস্ক পরা যায় না। কিন্তু ইউনিটের সবাই সতর্কতা অবলম্বন করে চলত। চুঁচুড়াতে শ্যুটিং চলেছে আমাদের। ঠিক কখন শ্যুটিং শেষ করলে সবাই বাড়ি ফিরতে পারবেন নাইট কার্ফুর আগে, তা মাথায় রেখে কাজ করতে হত। কোভিডের বাড়তি সতর্কতা নিয়ে কাজ করাটা সবসময়েই মনে থাকবে।'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -