Rajinikanth Best Dialogues: ৭৩-এ পা দিলেন 'শিবাজি দ্য বস'! জানুন তাঁর কিছু বিখ্যাত সংলাপ

'শিবাজি' বললেই এক ঝলকে ভেসে ওঠে তাঁর নাম। ৭৩-এ পা দিলেন শিবাজি, তবু আজও চিরযুবা থালাইভা। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় একচ্ছত্র আধিপত্য তাঁর। তিনি রজনীকান্ত যার ফিল্মি ঢঙে সংলাপ বলার কায়দায় আজও উল্লাসে ফেটে পড়ে অনুরাগীরা।

সাল ১৯৭৫। 'অপূর্ব রাগাঙ্গল' ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় পদার্পণ করেন রজনীকান্ত। তাঁর আসল নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়, তবে ছবির দুনিয়ার দৌলতে সারা ভারত তাঁকে চেনে রজনীকান্ত নামেই।

২০০৭ সালে 'শিবাজি' ছবিতে অভিনয় করে ২৬ কোটি টাকা উপার্জন করেছিলেন রজনীকান্ত। তামিল, হিন্দি, মরাঠি মিলিয়ে মোট ১৭৫টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

'ভায়াথিনাইল' ছবিতে এক নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গিয়েছিল রজনীকান্তকে। তাঁর পাশাপাশি সেই ছবিতে ছিলেন কমল হাসান এবং শ্রীদেবীও। এই ছবির বিখ্যাত সংলাপ ‘ইধু ইপ্পাদি ইরুক্কু’ অর্থাৎ এটা কেমন হল? সংলাপ বলার কায়দায় তিনি আনন্দ দিয়েছিলেন দর্শককে।

'মুরাত্তু কালাই' ছবিতে এক গ্রাম্য ভদ্রলোকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন থালাইভা রজনীকান্ত। তাঁর বয়ানে ‘সেভিদুভেন’ (তোমার মাথা আমি কেটে ফেলব) সংলাপটি যেন অন্য মাত্রা পেয়েছিল দর্শকমনে।

একটি ছবিতে থালাইভাকে দেখা গিয়েছিল ট্যাক্সিচালকের ভূমিকায়। ছবির নাম 'ভাসা'। আর এই ছবিতেই ছিল সেই বিখ্যাত সংলাপ - 'নান ওরু থাডাভা সোন্না, নোরু থাডাভা সোন্না মাদিরি’ অর্থাত্‍ আমার এক কথা একশো কথার সমান।

'পাদায়াপ্পা' ছবিটিতেও রজনীকান্তের আরও একটি বিখ্যাত সংলাপ ছিল। ‘এঁ ভাজি, থানি ভাজি’ অর্থাত্‍ আমার রাস্তা, আমার নিজের। এই সংলাপ আজও সমান জনপ্রিয়।

'মুথু' ছবির সেই সংলাপ একবার মনে করে দেখুন। রজনীকান্ত যেখানে বলছেন, 'কেউ জানে না আমি কীভাবে বা কখন আসব। যখন সঠিক সময় আসবে আমি তখনই আসব।'

এরপরেই আসে 'শিবাজি' ছবির কথা। রজনীকান্তের জীবনে এই ছবিটি একটি মাইলস্টোন। এই ছবিতে একটা নয়, দু-দুটো সংলাপ খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল তাঁর। প্রথম সংলাপটি ছিল এরকম- 'সুম্মা পেরে কেট্টা আথরুদুলা' অর্থাৎ আমার নাম নিলে এই পৃথিবী টুকরো টুকরো হয়ে যায়। অন্যদিকে সেরা সংলাপ বলতে মনে পরে- 'শুয়োররা সব সময়ে দল বেঁধে আসে, কিন্তু বাঘ হাঁটে একা। সম্পূর্ণ একা'।

সম্প্রতি অগাস্ট মাসে মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ছবি 'জেলার'। আগের দু'বছরে কোনও ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাঁকে। তাই এবার এক অন্য ধরনের উন্মাদনা ছিল ভক্তদের মনে। সারা দেশ জুড়ে চলেছিল রজনী ঝড়। বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ের অফিসগুলিতে ছুটি দেওয়া হয়েছিল ছবি মুক্তি উপলক্ষ্যে। আজও রজনীকান্ত এক জীবিত কিংবদন্তি।