১৯৯০ থেকে ২০২০, একাধিক অভিযোগ, তবুও বেকসুর খালাস! দেখুন বিকাশ দুবের অপরাধ জীবনের খতিয়ান
চার মাস পরে বিকাশ যখন আত্মসমর্পণ করল, তখন তার চারপাশে কানপুরের অনেক রাজনৈতিক চরিত্র। আদালতে ২৫ জন পুলিশকর্মীর এক জনও সাক্ষ্য দিতে চাননি। আদালত প্রমাণের অভাবে বিকাশকে ছেড়ে দেয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিকাশ দুবের এনকাফন্টার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
২০২০ সালে ফের গ্রেফতার হয় বিকাশ দুবে। কানপুরে ৮ জন পুলিশকে খুনের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। কানপুরকাণ্ডের ঠিক এখ সপ্তাহের মাথায় মহাকালের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয় দুবে। আজ সকাল ১০টায় কোর্টে পেশ করার কথা ছিল বিকাশকে। আজ সকালে উজ্জয়িনী থেকে আনার পথে কানপুরের কাছে ভউতীতে কনভয়ে থাকা বিকাশের গাড়ি উল্টে যায়। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ সূত্রে দাবি, গাড়ি উল্টে যাওয়ার পর বিকাশ এক এসটিএফ কর্মীর পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। পুলিশ ঘিরে ধরে তাকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, বিকাশকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু বিকাশ গুলি চালাতে শুরু করে। শুরু হয়ে যায় বিকাশ দুবের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। পুলিশ সূত্রে দাবি, সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয় বিকাশ। তার বুকে ও কোমরে গুলি লাগে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
সাল ২০০১। উত্তরপ্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কানপুরের শিবলি থানার ভিতরে বিজেপি নেতা সন্তোষ শুক্লকে তাড়া করে ঢুকে পড়ল বিকাশ দুবে। সন্তোষ শুক্ল তখন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর সমান মর্যাদাপ্রাপ্ত সরকারি পদে। থানায় অফিসার-হাবিলদার মিলিয়ে ২৫ জন পুলিশকর্মী। তাঁদের সামনেই বিকাশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল সন্তোষের দেহ।
বিকাশ দুবের সমস্ত অপরাধ সম্পর্কেই জানতেন তার স্ত্রী রিচা দুবে।
২০০৬ সালে একটি সাক্ষাৎকারে বিকাশ দাবি করেন, গরীবদের সাহায্য করতেই এই সমস্ত কাজ করতেন তিনি। গরীবদের জন্য তার দরজা সবসময় খোলা।
১৯৯০ সালে প্রথম বিকাশ দুবের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। খুন, ডাকাতি, অপহরণ, জমি দখলের মতো একাধিক অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
জন্ম উত্তরপ্রদেশের বিখরু গ্রামে। অল্প বয়সেই তৈরি করছিলেন নিজের দল। কেমন ছিল উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের জীবন? কীই বা ছিল তার পূর্ব অপরাধের খতিয়ান? জেনে নিন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -