দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে কার্গিল বিজয় দিবসের ২১ তম বর্ষপূর্তি, শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদি, রাজনাথ, মমতার
দিল্লিতে ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত সহ সেনার তিনটি বাহিনীর প্রধানরা। রাজধানীর পাশাপাশি, কাশ্মীরের দ্রাসেও পালিত হচ্ছে কার্গিল বিজয় দিবস। সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন কার্গিল বিজয়ের নায়করা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appগতকাল, কার্গিল বিজয় দিবসের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে ভারতীয় সেনার তরফে ট্যুইটে যুদ্ধের একটি ঘটনা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, কার্গিল শৃঙ্গ জয়ের আগের দিন, অর্থাৎ ১৯৯৯ সালের ২৫ জুলাই ঠিক কী ঘটেছিল। সেনা জানিয়েছে, আগের দিন মুসকো উপত্যকায় জুলু টপ পুনর্দখল করতে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। বাহিনীর অদম্য সাহস ও জেদের জেরে সেদিনই দখল করা হয় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই শৃঙ্গ।
১৯৯৯ সালে কার্গিল-দ্রাস সেক্টরে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের ভূমি দখল করে ফেলেছিল। সেই জমি পুনর্দখল করতে ভারতীয় সেনা অপারেশন বিজয় অভিযান চালিয়েছিল। আজকের দিনে পাকিস্তানের কবজা থেকে কার্গিল জয় করে পুনরায় দখল করেছিল ভারতীয় সেনা।
এমনকী, কার্গিলে পাক বাহিনীর দখলের কথা জানতেন না বলেও দাবি করেছিলেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে তিনি সে কথা না কি জানিয়েও ছিলেন। পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, কার্গিলে পাক সেনা দখল করেছে এই তথ্য তিনি বাজপেয়ীর থেকেই প্রথম জানতে পারেন।
কার্গিল দিবস উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, অ্যায় মেরে ওয়াতন কি লোগোঁ, জারা আঁখ মে ভর লো পানি, জো শহিদ হুয়ে হ্যায় উনকি, জারা ইয়াদ করো কুরবানি...। কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের জন্য লড়াই করা সেই সমস্ত শহিদ ও সাহসী যোদ্ধাদের স্যালুট জানাই। জয় হিন্দ।
১৯৯৯ সালের ৫ মে, পাঁচ ভারতীয় জওয়ানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক অনুপ্রবেশকারীরা। ৯ মে, পাকিস্তানি সেনা কার্গিল সেক্টরে ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে ভারী গোলা বর্ষণ শুরু করে। যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। ১০ মে, থেকে পুরোদমে শুরু হয় যুদ্ধ। ২ মাস, ৩ সপ্তাহ, ২ দিন ধরে যুদ্ধ চলার পর, ১৯৯৯-এর ২৬ জুলাই, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী কার্গিল বিজয়ের কথা ঘোষণা করেন।
কার্গিল যুদ্ধ হয়েছিল ৩ মে থেকে ২৬ জুলাই। সরকারি নথি বলছে, ১৯৯৮ সাল থেকেই ওই হামলার প্রস্তুতি করছিল পাকিস্তান। এমনকী, আগেও ওই ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছিল পূর্বতন পাক সেনা প্রধানরা। কিন্তু, সেদেশের প্রশাসন তা খারিজ করে দেয়, এই আশঙ্কায় যে, ভারতের সঙ্গে পূর্ণ-যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, কার্গিল বিজয়ের ২১ তম বর্ষপূর্তিতে আমি ভারতীয় সেনার বীর যোদ্ধাদের কুর্নিশ জানাচ্ছি, যাঁরা অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও শত্রুর বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই চালিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, কার্গিল বিজয় দিবস হল ভারতের গর্ব, বীরত্ব ও সাহসী নেতৃত্বের প্রতীক।
সেনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, আজ কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও দৃঢ়প্রতজ্ঞাকে স্মরণ করছি। তাঁরা ১৯৯৯ সালে আমাদের দেশকে বীরত্বের সঙ্গে রক্ষা করেছেন। তাঁদের সাহসিকতা পরবর্তী অনেক প্রজন্মকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদান করবে।
মহা সাড়ম্বরে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে কার্গিল বিজয় দিবসের ২১ তম বর্ষপূর্তি। আজকের দিনে স্মরণ করা হচ্ছে সেই সকল বীর সেনানীদের যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। যাঁরা দেশের অখণ্ডতা ও সুরক্ষায় চরম বলিদান দিয়েছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -