ছবিতে দেখুন: শহিদ কর্নেল সন্তোষবাবুকে শ্রদ্ধা একরত্তি মেয়ের, চোখের জলে বীর সেনানীদের শেষ বিদায়
তেলঙ্গনার সূর্যপেটে বাড়ি শহিদ কর্নেল বি সন্তোষবাবুর। ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন সন্তোষ। রেখে গেলেন স্ত্রী ও ২ সন্তানকে। তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপটনার বাসিন্দা ছিলেন হাভিলদার সুনীল কুমার। ২০০৪ সালে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বাড়িতে স্ত্রী, তিন সন্তান ও বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছে। ৬ মাস আগে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন। তারপর লকডাউনের ফলে আর আসতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর বদলা দাবি করেছে প্রয়াত সুনীলের মেয়ে।
রাজ্যের ২ শহিদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে, পরিবরের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। রাজ্যের দুই সেপাই-- বীরভূম জেলার রাজেশ ওরাং ও বিপুল রায়।
চিনা হামলায় মারা গিয়েছেন ছত্তীসগড়ের কাঙ্কের জেলার বাসিন্দা গণেশ কুঞ্জম।
ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জের বাসিন্দা কুন্দন ওঝার মৃত্যু হয়েছে। তিনি তাঁর সদ্যোজাত কন্যার মুখটাও পর্যন্ত দেখতে পেলেন না। ১৭ দিন আগেই তাঁর স্ত্রী কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। মায়ের সাথে শেষ কথোপকথনে কুন্দন কথা দিয়েছিলেন, তিনি শীঘ্রই ঘরে ফিরবেন।
বিহারের সহরসা জেলার বাসিন্দা কুন্দন কুমারও চরম বলিদান দিয়েছেন দেশের জন্য। তাঁর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া।
বিহারের সমন্তিপুরের বাসিন্দা অমন কুমার। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে আরও ২ ছেলেকেও দেশসেবার জন্য সেনায় পাঠাতে রাজি তিনি। জানান, চিনা হামলায় তাঁর ছেলের মৃত্যু হওয়ার পর পরিবারের অবস্থা সঙ্কটে।
হিমাচল প্রদেশের হমিরপুর জেলার বাসিন্দা সেপাই অঙ্কুষ। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার বিহ্বল হয়ে গিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের রীবা জেলার বাসিন্দা নায়েক দীপক সিংহ। তিনি দেশের জন্য সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছেন।
দেশের জন্য সর্বোচ্চ বলিদান দেওয়া এই বীর সেনানীদের চোখের জলে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন মানুষ। অন্ত্যেষ্টিতে ভিড় উপচে পড়েছে। ক্রমাগত অমর রহে স্লোগান উঠছে।
চিনা হামলায় মারা গিয়েছেন নায়েব সুবেদার মনদীপ সিংহ। তাঁর পরিজনরা জানান, মনদীপ প্রচণ্ড সাহসী ছেলে।
বীর শহিদদের শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে ভারতীয় সেনাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছেন, জওয়ানদের এই বলিদান বৃথা যাবে না।
সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চিনা ফৌজের হামলায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ওই বীর জওয়ানদের পার্থিব শরীর এক এক করে তাঁদের ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -