Bakri Eid 2021: দেশজুড়ে পালিত বকরি ইদ, করোনা কোপে জৌলুসহীন উৎসব
করোনা অতিমারির মধ্যে, মঙ্গলবার দেশজুড়ে পালিত হল বকরি ইদ। তবে কোভিড আবহে অনেকেই বাড়ি বসেই নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবকরি ইদে কোথাও ছিল না ইদের খুশির রোশনাই। বরং করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কতা মেনেই এ বছর অনেকটা জৌলুসহীন ইদ। সেই চেনা ভিড় এ বছর দেখা যায়নি। দিল্লির জামা মসজিদ হোক কিংবা ফতেহপুর মসজিদ জনসাধারণের জন্য বন্ধই রাখা হয়েছে।
প্রথা অনুযায়ী, চাঁদ দেখার পর দশম দিনে হয় বকরি ইদ। জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ অনুযায়ী, জুল হিজ্জা মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে ১২ তারিখ। ফলত, বকরি ইদ ২১ তারিখ। রমজানের ইদের ৭০ দিন পর পালিত হয় বকরি ইদ।
সকলে যাতে বাড়িতে বসে নামাজ পড়েন তা নিশ্চিত করতে ইমামদের নির্দেশ প্রশাসনের। কোভিডকালে মসজিদে ভিড় এড়াতে এবং সংক্রমণে রাশ টানতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দেশজুড়েই। যদিও অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালনের জন্য মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।
এই ইদকে বলিদানের উৎসব হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এই দিনকে অনেকে ইদ কুরবান বা কুরবান বায়ারামি হিসেবেও বলা হয়ে থাকে। আল্লাহর নামে ভেড়া, ছাগ বলি দেওয়া হয়।
নামাজ পড়ার পরই এই বলি দেওয়া হয়। এ বছর সেই দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বলির ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মও রয়েছে। বলিকৃত পশুর একটি অংশ দেওয়া হয় দরিদ্র সম্প্রদায়কে। একটি অংশ দেওয়া হয় বন্ধু ও পরিজনদের মধ্যে। আরেকটি অংশ নিজেদের জন্য রাখা হয়।
জুল হিজ্জা মাসের নবম দিন হজদিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। ইসলামীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, নবী ইব্রাহিম একবার স্বপ্ন দেখেছিলেন, ঈশ্বরকে খুশি করতে তিনি তাঁর পুত্র ইসমাইলকে বলি দিচ্ছেন। সেই থেকেই বলির এই রীতি পালিত হয়।
ইদ-উল-ফিতর পবিত্র রমজান মাসের শেষ ঘোষণা করে, সেখানে বকরি ইদ বার্ষিক হজযাত্রার শেষ ঘোষণা করে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -