Warren Hastings Love Story: প্রেমে পড়েছিলেন হেস্টিংস, আজও দিতে হচ্ছে মাশুল, যে কারণে পানাফুল ‘বাংলার ত্রাস’
বাংলার মাটিতে ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিষ্ঠা তাঁর হাতেই। দেশের প্রথম গভর্নর জেনারেল হন তিনি। ওয়ারেন হেস্টিংসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অপরাধের খতিয়ানও নেহাত কম ছিল না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএর পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করতে গিয়ে বাংলার মস্ত বড় ক্ষতি করেছিলেন হেস্টিংস। এত বছর পরও তাঁর সেই কর্মের মাশুল দিয়ে চলেছে বাংলা।
পানাপুকুরে ফুটে থাকা হালকা বেগুনি রংয়ের ফুল চোখে মন্দ লাগে না যদিও। কিন্তু বাংলার নদী-নালা-পুকুর বিষিয়ে দেওয়ায় ওই কচুরিপানাই মূলত দায়ী। প্রেমিকার মন পেতে অ্যামাজন বৃষ্টি অরণ্য থেকে কচুরিপানাকে বাংলায় তুলে এনেছিলেন হেস্টিংসই।
১৭৬৯ সালে জলপথে বাংলায় আসার সময় জাহাজে ব্যারনেস ম্যারিয়ন ইমহফ নামের এক মহিলার প্রেমে পড়েন হেস্টিংস। ইমহফ ছিলেন এক শিল্পীর স্ত্রী। হেস্টিংসের স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছিলেন। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠতে সময় লাগেনি।
সেই সময় ম্যারিয়নের বয়স ছিল ২২ বছর। তিন সন্তান ছিল তাঁর। সুন্দরী ম্যারিয়ন আসলে জার্মানির নাগরিক ছিলেন। জার্মান সেনায় কর্মরত ছিলেন স্বামী কার্ল ইমহফ। ফরে মিনিয়েচার আর্টের দিকে ঝোঁকেন। হেস্টিংসের সঙ্গে ম্যারিয়নের সম্পর্কে আপত্তি করেননি কার্লও।
বাংলার জল-হাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি কার্ল। তাই ইউরোপ ফিরে যান তিনি। পরবর্তী কালে ম্যারিয়ন এবং তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। সেই নিয়ে কলকাতারক তৎকালীন সমাজে কম বিতর্ক হয়নি। পরবর্তী কালে বিয়েও করেন তাঁরা। কিন্তু হেস্টিংস এবং ম্যারিয়নের প্রেমকাহিনির মাশুল আজও গুনে চলেছে বাংলা।
ম্যারিয়ন শুধুমাত্র ডাকসাইটে সুন্দরীই ছিলেন না, আভিজাত্যের ছোঁয়া ছিল তাঁর আচার-ব্যবহারেও। শোনা যায়, অ্যামাজন বৃষ্টি অরণ্যের হালকা বেগুনি পানাফুল মনে ধরেছিল ম্যারিয়নের। সে কথা জানতে পারেন হেস্টিংস।
শোনা যায়, ম্যারিয়নের মন জয় করতে অ্যামাজন বৃষ্টি অরণ্য থেকে ওই কচুরিপানা তুলে বাংলায় নিয়ে আসেন হেস্টিংস। কিন্তু কচুরিপানা নিয়ে তেমন জ্ঞান ছিল না হেস্টিংসের। তাই তিনি কী বিপদ ডেকে আনছেন, বুঝতে পারেননি।
কচুরিপানা দ্রুত বর্ধনশীল জলজ উদ্ভিদ। মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে দ্বিগুণ আকার ধারণ করতে পারে। শিকড়-বাকড় ছড়িয়ে, একেবারে কার্পেটের মতো জলের উপর আবরণের সৃষ্টি করে। মাছ এবং জলজ প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না। ফলে বাস্তুতন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, জার্মানি থেকে এই পানাফুল এসে পৌঁছয় বাংলাদেশে, এমনটাও কথিত রয়েছে।
আজও এর প্রভাব বয়ে চলেছে বাংলা এবং গোটা দেশ। কেটেছেঁটে তুলে ফেললেও, অল্পদিনের মধ্যে ফের জলের উপর আধিপত্য বিস্তার করে কচুরিপানা। ফলে পুরো পরিশ্রমই ব্যর্থ হয়। ক্ষতি হয় বাস্তুতন্ত্রের।
image 12
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -