Russia Crisis: একদিনের বিদ্রোহেই থমকে গেল চারপাশ, রাস্তায় নামল কামান, সেনা, রাশিয়া থেকে নির্বাসিত ইয়েভগেনি
এক বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ। ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানির অন্ত নেই। তার মধ্যেই অভ্য়ন্তরীণ সঙ্কট নেমে এল রাশিয়ায়। ভাড়াটে যোদ্ধা সংগঠন PMC Wagner-এর বিদ্রোহে শনিবার অচল হয়ে পড়ল দেশের রাজধানী মস্কো।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরাশিয়ার আধা সামরিক বাহিনী PMC Wagner এটি মূলত একটি বেসরকারি সংস্থা। অর্থের বিনিময়ে রুশ সেনাবাহিনীতে যোদ্ধা সরবরাহ করে থাকে তারা। তবে রুশ আইনকানুন সে ভাবে কার্যকর হয় না এই সংস্থার উপর।
শনিবার সংস্থার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন মস্কোর সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ২৫ হাজার বাহিনী নিয়ে রওনা দেন রাজধানীর উদ্দেশে। সশস্ত্র অভ্যুত্থান ঘটানোর ডাক দেন তিনি।
বিগত কয়েক মাস ধরেই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে তীব্র বিরোধে জড়িয়েছেন ইয়েভগেনি। শুক্রবার তিনি দাবি করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছেন যোদ্ধারা। কিন্তু মস্কোর তরফে তাঁর বাহিনীকে নিশানা করেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে। নিরাপত্তার তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
এই ঘোষণায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিশ্বে। মস্কোর তরফে চরমও শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। রাজধানী এবং আশেপাশের অঞ্চল মুড়ে ফেলা হয় কড়া নিরাপত্তায়। মস্কোর রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় সেনাকে, নামে কামানও।
সেই সময় ইয়েভগেনি জানান, মস্কোর দক্ষিণের রোস্তভ শহরে ঢুকে পড়েছে তাঁদের যোদ্ধারা। সেখানে একাধিক সামরিক শিবির দখল করে নেওয়া হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রুশ সেনার একটি হেলিকপ্টার।
সেই আবহে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইয়েভগেনিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। জানান, পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে মস্কোকে। তার জন্য নিস্তার পাবে না কেউ।
পুতিনের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন ইয়েভগেনি। জানান, তাঁরা দেশপ্রেমী। সাধারণ মানুষের রক্তপাত চান না। কিন্তু শাসককে সরাতে বদ্ধপরিকর। তাই কোনও বাধাবিঘ্নই তাঁদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না।
এর পর বেলারুসের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসেন। ইয়েভগেনি এবং মস্কোর মধ্যে গোপন সমঝোতা হয়, যার আওতায় ইয়েভগেনি এবং তাঁর সমর্থকদের উপর থেকে সমস্ত অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। জানা যায়, তাঁরা বেলারুসে নির্বাসনে যাবেন।
যাঁরা বিদ্রোহে যোগ দেননিPMC Wagner-এর যে সদস্যরা, রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন তাঁরা। এর পর রাতেই মস্কোয় অভিমুখএ যাত্রা থামিয়ে দেন ইয়েভগেনি। বাসে চেপে রওনা দেন বেলারুসের উদ্দেশে। রাস্তায় তাঁদের সঙ্গে সক্ষাৎ করতে দেখা যায় স্থানীয় মানুষদের।
গতকাল পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, মস্কোর আশেপাশের এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচলও। তবে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছনোর পর রাস্তাঘাট ফের খুলে দেওয়া হয়। যান চলাচল এই মুহূর্তে স্বাভাবিক বলে জানা গিয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -