Elon Musk: তিন-তিনবার আবেদন, দু’বার বিবাহবিচ্ছেদ, ট্যুইটার কেনার নেপথ্যেও নাকি হাত সুন্দরীর! প্রাক্তন স্ত্রীকে বাগদানের শুভেচ্ছা জানালেন মাস্ক
বিদ্যুৎচালিত গাড়ি তৈরি করেন। গবেষণা মহাশূন্য নিয়ে। মঙ্গলে বসতি গড়ার স্বপ্ন দেখেন। ধনকুবের ইলন মাস্ক ট্যুইটার কিনতে চাইছেন জেনে কার্যতই ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন সকলে। তাঁর এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে নাকি হাত ছিল প্রাক্তন স্ত্রীর! সিলিকন ভ্যালির অলিগলিতে অন্তত তেমনই শোনা যায়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমাঝের কিছু সময় বাদ দিলে, বিশ্বের তাবড় ধনকুবেরদের তালিকায় একেবারে শীর্ষে পাওয়া যায় মাস্ককে। কার্যতই রকেটের গতিতে উত্থান তাঁর। কিন্তু পেশাগত জীবনে যে সাফল্য পেয়েছেন তিনি, সেই তুলনায় তাঁর ব্যক্তিগত জীবন অত্যন্ত জটিল।
বিশেষ করে দ্বিতীয় স্ত্রী টালুলা রাইলির সঙ্গে মাস্কের সম্পর্ক নানা ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। দু’জনের মধ্যে বয়সের ফারাক ১৫ বছর। প্রথম স্ত্রী জাস্টিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে সবে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন মাস্ক।
সেই সময় ২০০৮ সালে লন্ডনের একটি পানশালায় টালুলার সঙ্গে আলাপ মাস্কের। প্রথম সাক্ষাতেই টালুলাকে ভাল লেগে যায় মাস্কের। কিন্তু সরাসরি তা বলতে পারেননি। তাই মহাকাশের প্রতি আকর্ষণ, রকেট তৈরির স্বপ্নই টালুলার সামনে তুলে ধরেন মাস্ক।
সেই সময় মাস্কের বয়স ছিল ৩৭, টালুলার ২২ বছর। পরে এক সাক্ষাৎকারে টালুলা জানান, তাঁর হাঁটুতে হাত ছোঁয়ানোর আগে অনুমতি চেয়েছিলেন মাস্ক। এর পর একসঙ্গে ব্রেকফাস্ট সারতে আমন্ত্রণ জানান।
কিন্তু ব্রেকফাস্ট শেষ হওয়ার পর একসঙ্গে লাঞ্চ সারতে আমন্ত্রণ জানান। লাঞ্চ মিটে যাওয়ার পর ডিনার। এর পর নিজের হোটেলে টালুলাকে ডেকে পাঠান মাস্ক। এর পরের সাক্ষাতে রাতভর রকেট, মহাকাশ নিয়ে তৈরি ভিডিও দেখান।
টালুলার বাবা পেশায় গোয়েন্দা, মা সিকিওরিটি সংস্থা চালান। মেয়ে মাস্কের সঙ্গে প্রেম করছেন জেনে চটে যান তাঁরা। মাস্ক আসলে ক্যাসানোভা, সময় কাটাচ্ছেন বলে মেয়েকে সতর্ক করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের কথা শোনেননি টালুলা। বরং বাড়ি ছেড়ে সরাসরি মাস্কের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
সেই সময় প্রথম পক্ষের পাঁচ সন্তানকে নিয়ে থাকতেন মাস্ক। টালুলা সেখানেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। মাস্কের কাজকর্মেও উৎসাহ দেখাতে শুরু করেন টালুলা। মাস্কের সন্তানদের আপন করে নেন টালুলা।
আমেরিকায় জন্ম এবং বেড়ে ওঠা হলেও, রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে ছিলেন টালুলা। বিয়ের আঘে শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি ছিল তাঁর। মাস্ক তাঁর সেই ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েছিলেন বলে পরে জানান টালুলা। শেষ মেশ ২০১০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মাস্ক এবং টালুলা।
কিন্তু ২০১২ সালে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানান টালুলা। সেই সময় প্রায় ১৩ কোটি টাকার বিনিময়ে বিবাহবিচ্ছেদ হয় টালুলা এবং মাস্কের। সেই সময় ট্যুইটারে মাস্ক লিখেছিলেন, ‘অসম্ভব সুন্দর চারটি বছর কাটিয়েছি তোমার সঙ্গে। সারাজীবন তোমাকে ভালবাসব। একদিন তোমাকে পেয়ে সুখী হবে কেউ’।
বিবাহবিচ্ছেদ মামলা চলাকালীনই ফের টালুলা এবং মাস্ক কাছাকাছি আসতে শুরু করেন। ২০১৩ সালে আবারও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। কিন্তু ২০১৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন জানান মাস্ক। সাত মাস পর আবার সেই আবেদন তুলে নেন তিনি।
শেষ মেশ, ২০১৬ সালে টালুলা নিজে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানান। তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। তাই নির্বিঘ্নেই বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয় দ্বিতীয় বার। তবে বিয়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও, সারাজীবন তাঁরা পরস্পরের বন্ধু থাকবেন বলে সেই সময় জানিয়েছিলেন মাস্ক এবং টালুলা।
টালুলার সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিবাহবিচ্ছেদের পর মাস্ক জানান, বিয়েতে আর আগ্রহ নেই তাঁর। মাস্ক জানান, স্বল্পমেয়াদি বিয়েতে ঘোর আপত্তি তাঁর। নিজের সঙ্গে এমন ঘটবে ভাবতেও পারেননি তিনি। তাই ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকবেন তিনি।
যদিও তৃতীয়বার মাস্কের সঙ্গে বিয়েতে আপত্তি ছিল না টালুলার। তিনি জানান, তিনি আর মাস্ক পরস্পরকে যত্ন করেন। পরস্পরকে কী ভাবে ভালবাসতে হয়, তা বিলক্ষণ জানেন তাঁরা। তাই সুযোগ পেলে আবরও মাস্ককে বিয়ে করতে রাজি তিনি।
এর পর মাস্কও সম্পর্কে জড়়িয়েছেন, সম্পর্কে জড়িয়েছেন টালুলাও। কিন্তু ট্যুইটার কেনার জন্য মাস্ককে উৎসাহ জোগান টালুলাই। ট্যইটার চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনের সময় মাস্ক এবং টালুলার ব্যক্তিগত কথোপকথনও তোলা হয় আদালতে। তাতে মাস্কের কাছে ট্যুইটার কেনার জন্য অনুরোধ জানাতে দেখা যায় টালুলাকে। সবরকম ভাবে তিনি মাস্কের পাশে থাকবেন বলেও জানান। তাই টালুলার অনুরোধ রাখতেই মাস্ক ট্যুইটার কেনেন বলেও শোনা যায়।
বর্তমানে মাস্ক এবং টালুলা পরস্পরের থেকে আলাদাই থাকেন। অভিনেতা টমাস ব্রডি স্যাংস্টারের সঙ্গে সম্প্রতি বাগদান সেরেছেন টালুলা। ট্যুইটারেই সেই ঘোষণা করেন তিনি। ট্যুইটারেই তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানান মাস্ক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -