Joshimath Sinking: ডুবছে জোশীমঠ, শেষ সম্বল নিয়ে ঘর ছেড়ে পথে বাসিন্দারা
জোশীমঠ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। দ্রুত ডুবছে হিমালয়ের এই শহর। ইসরো-র রিপোর্টে সামনে এসেছে আরও উদ্বেগজনক তথ্য। গত ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার নীচে বসে গিয়েছে জোশীমঠ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমূলত মধ্য জোশীমঠে ক্রমশ বসে যাচ্ছে মাটি। জোশীমঠ-আউলির রাস্তাও এভাবেই ধসছে। শুধু এখানে নয়, আগেও এভাবেই ক্রমশ বসে যাচ্ছিল ওই গোটা এলাকা।
ভূমিধসের কারণেই ক্রমশ ফাটল ধরছে নানা বাড়ি এবং রাস্তায়। সাতশোরও বেশি বাড়িতে ফাটল ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যে জোশীমঠকে থাকার অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
যাঁদের বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে। তাঁদের আপাতত নানা শিবিরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। আপাতত তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
একের পর এক বাড়িতে ফাটল বাড়ছে। হোটেল মালারি ইন ও মাউন্ট ভিউ, পাশাপাশি দুটি হোটেল ভাঙা শুরু হয়েছে।
হোটেলের পিছনের দিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে হোটেলের এক একটা তলা ধীরে ধীরে ভেঙে সরানো হচ্ছে।
বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে রেড ক্রস দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। আজ দেহরাদুনে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ক্যাবিনেট বৈঠক করবেন। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি একটি ট্যুইট ভাইরাল হয়েছে। সেখানে পরিবেশবিদ বিমলেন্দু ঝা অভিযোগ করেছে ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের জন্যই জোশীমঠের এই করুণ পরিস্থিতি। তাঁর আশঙ্কা এখান থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই। তাঁর অভিযোগ, একটি টানেল করার সময় ওই এলাকায় একটি Acuifer বা ভূগর্ভস্থ জলাধারে ফাটল ধরিয়েছে NTPC. তার জেরেই এই ঘটনা ঘটছে।
যদিও ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে NTPC. তাদের দাবি, জোশীমঠের মাঝখান দিয়ে তাদের টানেল যায়নি। টানেলটি মাটির তলায় কয়েকশো কিলোমিটার নীচে বলেও তাদের দাবি।
উত্তরকাশীতে রাত ২.১২ নাগাদ ভূমিকম্প হয়। উত্তরকাশী এবং জোশীমঠ উভয়ই উত্তরাখণ্ডের গাড়ওয়াল অঞ্চলে অবস্থিত। উত্তরকাশী থেকে জোশীমঠের দূরত্ব ২৮৫ কিমি। এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই, তবে জোশীমঠের অবস্থা দেখে সবাই ভয় পাচ্ছে যে ভূমিকম্পের সামান্য কম্পনও বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনতে পারে। প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। সব ছবি: PTI
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -