Sugar Price Hike: উৎসবের মরসুম চিনি কিনতে কি পকেট ফাঁকা হবে? দাম কি আরও বাড়বে?
ভারতে উৎসবের মরসুম চলছে। দীপাবলি-কালীপুজো পেরোলেই ফের ডিসেম্বরে একাধিক উৎসব রয়েছে। এই সময়টা চিনির চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। এবার কি চিনির দাম বাড়বে? আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিমধ্যেই চিনির দামে রেকর্ড বৃদ্ধি হয়েছে। ভারতীয় বাজারেও কি তার প্রভাব পড়বে?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appইতিমধ্য়েই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি পাউন্ডে চিনির দাম বেড়েছে ২৮ সেন্ট। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ১২ বছরে সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে চিনির দাম।
ভারতীয় বাজার থেকে রফতানি হ্রাস পেয়েছে আর অন্যদিকে ব্রাজিলে পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে হ্রাস পেয়েছে চিনির জোগান। এই কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে চিনির দাম। ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশন-এর মতে ১৫ দিনের গড় দাম আগের মাত্রা ভেঙে দিয়েছে।
ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির দাম ক্রমশ বেড়েছে। সেই কারণেই চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। আর সেদিকে তাকিয়েই উৎসবের মরসুমে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে যাতে চিনির দাম লাগামছাড়া না হয় তার দিকে লক্ষ্য রাখছে ভারত। কারণ উৎসবের মরসুমে চিনির চাহিদাও তুঙ্গে ওঠে।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদক। ফলে ভারতীয় রফতানি কমলে তা বিশ্ববাজারে ভালরকম প্রভাব ফেলে।
২০২২-২৩ মরসুমে মিলগুলিকে শুধুমাত্র ৬.২ মিলিয়ন টন চিনি রফতানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর সেই মরসুম শেষ হয়েছে। আগের বছরে এই পরিমাণ অনেকটাই বেশি ছিল। ২০২১-২২ মরসুমে ভারত রফতানি করেছিল ১১.১ মিলিয়ন টন চিনি।
ভারতের কৃষিতে বর্ষার বড়সড় প্রভাব থাকে। ২০১৮ সালের পর থেকে এবারও সবচেয়ে দুর্বল বর্ষা হয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে ফলনে। ফলন কমার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে জোগান কমলে স্বাভাবিক নিয়মেই দাম বাড়বে চিনির। year-on-year অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এই বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতীয় বাজারে চিনির দাম ৫-৮ শতাংশ বেড়েছে বলে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
Indian Sugar Mill Association-এর বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে ভারতের চিনি উৎপাদন অন্তত ৮ শতাংশ পড়ে দাঁড়াবে ৩৩.৭ মিলিয়ন মেট্রিক টনে। আরও একটি বিষয় এখন সামনে এসেছে তা হল ইথানল তৈরির প্রক্রিয়া।
এখন চিনি ইথানল তৈরির কাজেও ব্যবহার করা হয়। গত বছরে চিনির মিলগুলি ৪.১ মিলিয়ন চিনি ইথানল উৎপাদনে ব্যবহার করেছিল। এবারও প্রায় সমপরিমাণ চিনিই ওই কাজের জন্য যাবে। যার ফলে বাজারের জন্য কমছে চিনির পরিমাণ। এই পরিস্থিতিতে ভারতের বাজারে চিনির দামে লাগাম পরাতে রফতানি বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে ভারত, এমনটা আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশের।
ব্রাজিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিনি উৎপাদক। সেখানে বেশ কিছু পরিকাঠামোগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেই কারণে বন্দরগুলিতে কাজের গতি কমেছে। জাহাজে মাল তোলার সময় বেড়েছে, জমছে চিনি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -