Lal Bahadur Shastri: বিদেশের মাটিতে চুক্তির পরেই মৃত্যু ভারতের এই প্রধানমন্ত্রীর, আজও রয়েছে 'রহস্য'
স্বল্প উচ্চতার দোহার চেহারের এক অতি সাধারণ মানুষ। অথচ তাঁর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে দৃঢ়চেতা এবং অসম্ভব সাহসী ও দূরদৃষ্টির ক্ষমতা। অনেকে এভাবেই বর্ণনা দেন স্বাধীন ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৯৬৬ সালে আজকের দিনে বিদেশ সফররত অবস্থায় তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার তাসখন্ডে মারা যান। এদেশে তাঁর মরদেহ ফিরেছিল।
মহাত্মা গাঁধীর সঙ্গে একইদিনে জন্মদিন লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর। ১৯০৪ সালের ২ অক্টোবর অধুনা উত্তরপ্রদেশের মোগলসরাইতে জন্মেছিলেন।
শুধু মহাত্মা গাঁধীর সঙ্গে একই দিন জন্মদিন বলে নয়, আরও একটি বিষয় তাঁকে গাঁধীর সঙ্গে মিলিয়েছিল। তা হল রাজনৈতিক চেতনা। মহাত্মা গাঁধীর অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেই সময় কিছুদিনের জন্য জেলযাত্রা। তারপর বেরিয়ে এসে পড়াশোনা শেষ করেন। তারপর স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন। ক্রমে কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন, নিজের দক্ষতায় হয়ে ওঠেন উচ্চস্তরের নেতা।
৫০-এর দশকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে রেল ও পরিবহনের দায়িত্ব সামলেছিলেন। ষাটের দশকে একেবারে প্রথমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৬৪ সালে জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর তিনি হলে ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়েই হয় ভারত-পাকিস্তানের দ্বিতীয় বড় যুদ্ধ- ১৯৬৫ সালে।
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর একটি স্নোগান ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে রয়েছে। জয় জওয়ান জয় কিষাণ। যুদ্ধের সময় কৃষক ও সেনাদের উজ্জীবিত করার জন্য় ব্যবহার হয়েছিল এই স্লোগান।
১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময় দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক করতে এবং উপমহাদেশীয় এলাকায় শান্তি ফেরাতে হস্তক্ষেপ করে তখনকার দুই মহাশক্তিধর দেশ। আমেরিকা এবং সোভিয়েত রাশিয়া। সময়টা এমন-যখন তুঙ্গে চলছে দুই দেশের ঠান্ডা লড়াই (Cold War)
তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া অধুনা উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। দিনটা ১৯৬৫ সালের ১০ জানুয়ারি।
ঠিক তার পরের দিনই ১১ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে বিদেশের মাটিতেই মারা যান প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। সরকারি ভাবে বলা হয়েছিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সেই দাবি নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন উঠেছে।
এমনকী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পরিবারের তরফে, অসংখ্য অনুরাগীদের তরফে একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁদের দাবি সেই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর মেলেনি। অনেকেই মনে করেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পিছনে গূঢ় রহস্য রয়েছে। যদিও সেসব তর্ক ও আলোচনার বিষয়
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -