Narendra Modi: কংগ্রেসকে কটাক্ষ, কড়া ভাষায় আক্রমণ 'ইন্ডিয়া' জোটকে, সংসদে জবাবি ভাষণে আর কী কী বললেন মোদি?
বাদল অধিবেশন চলছে সংসদে। আর সেখানেই আজ ১০ অগস্ট, বৃহস্পতিবার দু'ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন কোন প্রসঙ্গে কী বক্তব্য রেখেছেন তিনি? দেখে নেওয়া যাক একঝলকে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আজ সংসদে প্রধানমন্ত্রী জবাব দিতে পারেন এই আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। আজ সেই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, '২০২৮-এ আবার অনাস্থা আনবেন বিরোধীরা, একটু হোমওয়ার্ক করে আসবেন'। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ধ্বনিভোটে লোকসভায় বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়েছে।
মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী কী বলছেন, সেদিকেও নজর ছিল সকলের। এদিন সংসদে মোদি বলেন, 'মণিপুরের ঘটনা আদালতে বিচারধীন রয়েছে। মণিপুরের ঘটনায় অনেকেই তাঁদের স্বজন হারিয়েছেন। মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকার একসঙ্গে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের সব নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি আসন্ন ভবিষ্যতে মণিপুরে শান্তির সূর্য উঠবে, মণিপুর আবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাবে। দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে, এই সংসদ সঙ্গে আছে। আমরা সবাই মিলে সমাধান করব। শান্তি স্থাপন হবেই।'
তবে ভাষণ শুরুর দেড়ঘণ্টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে শোনা যায়নি মণিপুর প্রসঙ্গ। এমনকি বিরোধী শূন্য লোকসভায় মণিপুর নিয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় বিরোধীদের নিশানা করতেও পিছপা হননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'মণিপুর নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছে নেই বিরোধীদের। রাজনীতি দূরে সরিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আলোচনায় অংশই নিতে ইচ্ছা নেই বিরোধীদের।'
এদিনের ভাষণে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'এবার অধীরবাবুকে বলতেই দিল না তাঁর দল।' প্রসঙ্গত, মণিপুর ইস্যুতে সদ্য প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন অধীর চৌধুরী। নীরব মোদির প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আর এবার তারই পাল্টা জবাব দিলেন মোদি। অন্যদিকে উল্লেখ্য, অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে।
আজ সংসদে জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বারংবার কটাক্ষ করেছেন বিরোধীদের। কখনও তিনি বলেছেন, 'বিরোধীদের যাঁদের খারাপ চান, তাঁদের ভাল হয়, এর উদাহরণ আমি নিজেই। ওদের উপর নিশ্চয়ই কোনও বরদান আছে। আমার এত খারাপ চেয়েছেন, অথচ ২০ বছর ধরে বেঁচে আছি তো আমি। যে যে সংস্থাকে বলেছে খারাপ হবে, তাঁরাই এখন মজবুত হচ্ছে। বিরোধীরা খারাপ কিছু বললে তা দেশের জন্য ভাল'।
নরেন্দ্র মোদির কথায়, 'শুভ কাজে যাতে নজর না লাগে সেই কারণে যেমন কালো টিকা লাগানো হয়, তেমন বিরোধীরা কালো কাপড় এসে আমাদের সরকারের শুভ কাজে নজর দিচ্ছেন না। আমি বিরোধীদের খারাপ ভাষাকে নিজের জন্য টনিক হিসেবে খেয়ে নিচ্ছি।' তিনি আরও বলেন, 'মানুষও বুঝে গিয়েছে বিরোধীরা যেটিকে খারাপ বলবে সেখানেই বিনিয়োগ করতে হবে।'
বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'-কে এর আগেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সংসদে জবাবি ভাষণ দিতে গিয়েও বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অথচ দিল্লিতে জোটে একসঙ্গে।' তিনি আরও বলেন, '১৯৯১ সালে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সিপিএম কী ব্যবহার করেছিল, ইতিহাস জানে। যাঁরা কংগ্রেসের পার্টি অফিসে হামলা চালাল, এখন তাঁদের সঙ্গেই জোটে।'
সংসদে আজ ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে বারবার নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি এদিন ভাষণে বলেন, 'মোহাব্বত কা দুকান নয়, ঝুট কা দুকান। দেশের সব বেচে দিয়েছে ওরা'। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আজ হাওয়াই চটি পরা গরিব বিমানে ওঠে'। যদিও নাম না করে প্রধানমন্ত্রী কাকে নিশানা করেছেন তা স্পষ্ট নয়।
আজ সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন যে, 'ভারতের বদল ঘটানোর জন্য কংগ্রেস মুখিয়ে থাকে। বিদেশিরা কিছু বললেই, সেটাকে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে বলে চলেন। দেশের কিছুতেই ভরসা নেই ওদের। বিদেশের ওপর বেশি ভরসা।' বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জনতা নিজেদের থেকেই বিরোধীদের উপর অনাস্থা এনে দিয়েছে। আমাদের কিছু করতে হয়নি। জনতার আশীর্বাদে আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ২০১৮ তেও বিরোধীরা অনাস্থা এনেছিল। দেশবাসী আমাদের সরকারের ওপর বিশ্বাস রেখেছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -