লকডাউনে কাজ গিয়েছে স্বামীর, সংসারে হাল টানতে টোটো চালিয়ে লড়াই স্ত্রীর
আপাতত নন্দকুমার ব্লকের একমাত্র মহিলা টোটোচালক নিয়তি। তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই লড়াইয়ে বধূর পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা পরিবার।নিয়তির শাশুড়ি আরতি বর্মন বলেছেন, ছেলের কাজ চলে যায়, বৌমা টোটো কেনে, বৌমাকে ধন্যবাদ দিতে হয়, যেভাবে কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছে।
নিয়তির সাফ কথা,মেয়েরা যখন দেশ চালাতে পারে। বিভিন্ন পেশায় কাজ করতে পারে তাহলে আমি কেন টোটো চালাতে পারব না! আজ রোদে জলে পুড়ে কষ্ট হলেও ব্যাংকের ঋণ শোধ করে সংসার চালিয়ে অনেকটাই খুশিতে আছি, আমার আসতে দেরি হলে, শাশুড়ি রান্না করে।
তাই সংসারের হাল ধরতে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে টোটো কিনে ফেলেন নিয়তি। সেই টোটোর চাকাতে ভর করেই চলছে নিয়তিদের সংসার।
এরপর ভ্যান চালিয়ে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করলেও, যথেষ্ট রোজগার হচ্ছিল না। ৩ মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন নিয়তির স্বামী।
নিয়তি বর্মনের স্বামী বেঙ্গালুরুতে কাজ করতেন। গত মার্চে কাজ হারিয়ে ফিরে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের বাড়িতে।
করোনার জেরে লকডাউনই ছাপোষা গৃহবধূর জীবনের গতিপথ বদলে দিয়েছে।
নিজের নিয়তি নিজেই লিখছেন নিয়তি!হেঁশেল সামলেও দিব্যি মানিয়ে নিয়েছেন নতুন পেশায়।পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের নিয়তি বর্মন
লকডাউনে কাজ হারান স্বামী। সংসারে হাল টানতে টোটো চালিয়ে লড়াই জারি স্ত্রীর। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ধীরে ধীরে শোধ করছেন। সংসারে ফিরছে স্বাচ্ছন্দ্য। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের বধূর লড়াইয়ে পাশে পরিবার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -