Mother Teresa Birth Anniversary : কোন অলৌকিক ক্ষমতার জন্য সন্ত হয়েছিলেন মাদার টেরেজা? জন্মদিনে স্মৃতিচারণ
আজ তাঁর জন্মদিবস। আঠারো বছর বয়সে তিনি সিদ্ধান্ত নেন সন্ন্যাস নেওয়ার। পথ চলার সেই শুরু। তারপর ম্যাসিডোনিয়া থেকে কলকাতা। সেই নারী ধীরে ধীরে হয়ে গেছেন এই বাংলার, এই দেশের।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appধর্ম-বর্ণের বেড়াজাল ভেঙে তিনি ছিলেন সবার ‘মাদার’৷ তিনি ছিলেন স্বার্থহীন সেবার মূর্ত প্রতীক৷
১৯৯৮ সালে এক উপজাতি মহিলাকে দুরারোগ্য রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে তোলায় ২০০৩-এ মাদার টেরিজার আলৌকিক ক্ষমতার প্রথম স্বীকৃতি দেন তত্কালীন পোপ দ্বিতীয় জন পল।
একইভাবে ২০০৮ সালে দুরারোগ্য মস্তিষ্কের অসুখে আক্রান্ত মৃতপ্রায় এক ব্রাজিলিয়ানকে সারিয়ে তুলেছিলেন মাদার।
২০১৫ সালে এই ঘটনাটিকেও স্বীকৃতি দেন পোপ ফ্রান্সিস। মৃত্যুর ১৯ বছর পরে সন্ত ঘোষণা করা হয় মাদার টেরেজাকে। আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন পোপ ফ্রান্সিস।
এরপর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভ্যাটিকান সিটিতে এক অনুষ্ঠানে সন্ত মর্যাদা জানানো হয় মাদার টেরেজাকে। ক্যাথলিক বিশ্বাস অনুযায়ী, কর্মসূত্রে কেউ সন্ত হতে পারেন না। ঐশ্বরিক ক্ষমতার বলেই সন্ত হওয়া যায়।
জীবনের পঁয়তাল্লিশটা বছর মাদার টেরেজা সঁপে দিয়েছিলেন অসহায় মানুষের সেবার। নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ!
১৯৫০-এর ৭ অক্টোবর তাঁর হাতে তৈরি হয় মিশনারিজ অব চ্যারিটি। তার পর এক বিশাল যাত্রাপথ। মাদারের চেষ্টায় একে একে তৈরি হয় ‘নির্মল হৃদয়’, ‘শিশু ভবন’, ‘প্রেমদান’, ‘দয়াদান’। তাঁর তৈরি কুষ্ঠরোগীদের আশ্রম এক বিরাট কর্মকাণ্ড।
তাঁর বিখ্যাত উক্তি, ‘‘বিশ্ব শুধু রুটির জন্য ক্ষুধিত নয়, প্রেমের জন্যও বটে৷’ - যে প্রেম তিনি সারাজীবন বিলিয়েছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -