Sourav Ganguly Birthday:ফিক্সিং বিতর্কের জাল থেকে বেরিয়ে টিম ইন্ডিয়ার নয়া অধ্যায়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল সৌরভের নেতৃত্বে
৪৯ বছরে পা দিলেন ভারতের ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে গন্য করা হয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)-এর বর্তমান সভাপতিকে। ফিক্সিং কেলেঙ্কারির জালে যখন হাঁসফাঁস করছিল ভারতীয় ক্রিকেট। তখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন করে উত্থান ঘটে ভারতীয় ক্রিকেট দলের। ফিক্সিং কাণ্ডের জাল থেকে টেনে বের করে টিম ইন্ডিয়ার সাফল্যের নয়া দিশায় যাত্রার সূচনা হয়েছিল সৌরভের হাত ধরে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৪৬ টি একদিনের ম্যাচ আর ৪৯ টি টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সৌরভ। তাঁর অধিনায়কত্বে ভারত ৭৬ একদিনের ম্যাচ জিতেছে। ২১ টি টেস্ট ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। ১৫ টেস্ট ড্র হয়েছে। ২০০১-এ স্টিভ ওয়ার নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার জয়ের দৌড় থামিয়েছিল সৌরভের ভারত। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ সিরিজ হারিয়ে ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছিল সৌরভের ভারত।
সৌরভের হাত ধরেই বিদেশের মাটিতে জয়ের অভ্যেস গড়ে তোলে টিম ইন্ডিয়া। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অধিনায়কত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের ফাইনালে জিততে সক্ষম হয়।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় দলে বেশ কয়েকজন তরুণের উত্থান ঘটে। সৌরভের অধিনায়কত্বেই হরভজন সিংহ, বীরেন্দ্র সহবাগ, ইরফান পঠান, জাহির খান, এমএস ধোনি,মহম্মদ কাইফ ও আশিষ নেহরার মতো একঝাঁক তরুণ তুর্কি দলে জায়গা পাকা করে নিতে সক্ষম হন। এই খেলোয়াড়রাই পরবর্তী কালে ২০০৭-এর টি ২০ বিশ্বকাপ ও ২০১১-র বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সাফল্যে গুরুত্বপূ্র্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।
যদিও সৌরভের এই সফর একেবারেই সহজ ছিল না। ভারতীয় দলের হয়ে জায়গা করে নেওয়া ও অধিনায়ক হিসেবে তাঁর এই যাত্রার পথে ছিল কাঁটা বিছানো।
১৯৯২-তে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সৌরভের। কিন্তু একটা ম্যাচ খেলার পরই বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। চার বছর পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটে সৌরভের। ১৯৯৬-এ লর্ডসে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকেই ঝকঝকে সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিলেন তিনি।
এর পরের ১০ বছর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সচিন তেন্ডুলকরের পর টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার হিসেবে নিজের জায়গা করে নেন সৌরভ। ২০০০ সালে টিম ইন্ডিয়া ফিক্সিংয়ের জালে জড়িয়ে পড়েছিল। সচিনও দলকে নেতৃত্ব দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তখন দলের নেতৃত্বভার সৌরভের হাতে আসে। বাকিটা ইতিহাস।
একের পর এক সাফল্যের মধ্যেও খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। ২০০৪ থেকে সৌরভের ফর্ম খারাপ হতে থাকে। ২০০৫-এ গ্রেগ চ্যাপেল কোচ হওয়ার পর সৌরভ শুধু নেতৃত্বই হারাননি। দল থেকেও বাদ পড়েছিলেন।
কিন্তু এই অবস্থাতেও হাল ছাড়েননি সৌরভ। ২০০৬-এ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর। পরের দুই বছরে ব্যাট হাতে দাপট দেখানোর পর সৌরভ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ২০০৮-এ বিদায় জানান।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -