দেখুন, পাকিস্তানে দেনা উসুল করতে ছিনিয়ে নেওয়া হল তরুণীকে
পাঁচশো মার্কিন ডলার ধার নিয়ে আর শোধ দিতে পারেনি পাকিস্তানের একটি পরিবার। দেনা উসুল করতে সেই পরিবারের ১৪ বছর বয়সি একটি মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হল
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদক্ষিণ পাকিস্তানে এটা খুবই পরিচিত ঘটনা। একবার ঋণ নিলে তার ফাঁস থেকে আর বেরোনো যায় না। আর এখানে আমেরি ও তাঁর মেয়েরা সম্পত্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। ঋণ শোধ, বিবাদ নিষ্পত্তি বা কোনও জমিদার যদি তার শ্রমিকের ওপর শোধ নিতে চায় তাহলে প্রথম কোপটাই নেমে আসে জীভতিদের ওপরই। অনেক সময় ঋণভারে জর্জরিত বাবা-মাই মহাজনের হাতে তুলে দিয়ে আসতে বাধ্য হন মেয়েকে
২০১৬ সালের গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্স সমীক্ষা অনুযায়ী, পাকিস্তানে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ ক্রীতদাসত্বের ঘানি বয়ে চলেছে। সারা বিশ্বে পাকিস্তান এক্ষেত্রে প্রথম তিনটি দেশের মধ্যে রয়েছে। ওই ক্রীতদাসদের কেউ জমিতে, কেউ ইঁট ভাটায় আবার কেউ কেউ বাড়িতে কাজ করে। মারধর তো আছেই অনেক সময়ই তারা যাতে পালাতে না পারে, এজন্য শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়
আমেরী বলেছেন, থানা এবং আদালতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের কথা কেউ শোনেইনি। বিচার পাওয়ার কোনও আশা নেই
জীভতির পরিবারের লোকেদের জানানো হয়েছে, তাঁদের মেয়েকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। তাকে আর ফেরত দেওয়া হবে না
জীভতি নামে ওই কিশোরী এখন কোথায়, কী অবস্থায় আছে, সে খবর তার পরিবারের কাছে নেই। আমেরি বলেছেন, পাকিস্তানে এভাবেই ধার শোধ না করতে পারলে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বেছে বেছে সবচেয়ে কমবয়সি, সুন্দরী ও নম্র মেয়েটিকেই ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বাড়িতে কাজের জন্য রাখা হয়। কখনও কখনও দেহব্যবসায় নামিয়ে দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় লালসা চরিতার্থ করতেও কিশোরী মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়
আমেরির বক্তব্য, জমিতে চাষের জন্য তাঁরা প্রথমে ৫০০ ডলার ধার করেছিলেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি সেই ধার চক্রবৃদ্ধিহারে এমন হয়ে যাবে যে তা আর কোনওদিন শোধ হবে না। ঋণের জালে জড়িয়ে পড়তে হল সারাজীবন
ওই কিশোরীর মা আমেরি কাশি কোহলি বলেছেন, পাকিস্তানে তো গরিবদের বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়ার সুযোগ নেই। সেই যে বছর ভূমিকম্প হল, সে বছর ওর বোনের জন্ম হয়েছিল, তখন ওর বয়স ছিল ৩
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -