নিরাপত্তা নিয়ে মৎস্যজীবীদের সচেতন করতে উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিশেষ র্যালি
এদিন বাহিনীর আঞ্চলিক কম্যান্ডার আইজি কে আর নটিয়াল জানান, জলপথ নিরাপত্তায় মৎস্যজীবীরা হলেন যে উপকূলরক্ষী বাহিনীর চোখ ও কান।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই র্যালির মাধ্যমে সদস্যরা সেই প্রশিক্ষণ দেবেন মৎস্যজীবীদের। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে গিয়ে সেখানে মেডিক্যাল ক্যাম্প করবে। এর জন্য এই দলে চিকিৎসকদেরও রাখা হয়েছে।
কিন্তু, এর পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের মধ্যেও নাশকতা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। বিশেষ করে উপকূলবর্তী অঞ্চসে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে।
বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান জানান, অতীতে জলপথ দিয়ে জঙ্গিরা এদেশে এসে হামলা চালিয়েছে। তার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেই জন্য সদা-সজাগ উপকূলরক্ষী বাহিনী। তারা প্রতিনিয়ত নজর রেখে চলেছে।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিশেষ উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার, কলকাতায় বাহিনীর আঞ্চলিক সদর দফতর (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) থেকে এই বিশেষ র্যালির আয়োজন করা হয়।
নটিয়াল বলেন, জলে মৎস্যজীবীরা দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান। ফলে, কোনও জঙ্গি জলপথে তটের দিকে এগোলে মৎস্যজীবীরা যাতে শত্রুদের চিনতে পারেন, তার প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
লক্ষ্য, মৎস্যজীবীদের মধ্যে সামুদ্রিক নিরাপত্তার চেতনা গড়ে তোলা। মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যে, কী ভাবে সমুদ্র শত্রু ও বন্ধুদের চিনতে হবে।
জানা গিয়েছে পাঁচদিনের এই র্যালি কাঁথি, ধর্মা, পারাদীপ, চাঁদিপুর এবং হলদিয়া হয়ে ফের কলকাতায় শেষ হবে। মোট ১১৩৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করা হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে এদিন উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা। তিনি বলেন, দেশের জলসীমা নিরাপত্তায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম। এদিন এই মোটরসাইকেল র্যালির ফ্ল্যাগ অফ করেন তিনি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -