‘সবার কথা ভাবছি’, সোনাগাছির পুজোয় এবার পরিবেশ বাঁচাওয়ের বার্তা
শিল্পী রতন দলুইয়ের হাতে আঁকা পোস্টারেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে সোনাগাছির দুর্গা পুজোর। রতন বলছেন, “আমরা নিজেরাই পৃথিবীকে ধ্বংস করছি। ছবিতে সেই ধ্বংসলীলাই তুলে ধরা হবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App২০১৩, ২০১৪, ২০১৫, টানা তিন বছর পুজো হয় দুর্বারের ছোট্ট ঘরে। এরপর ২০১৬ সালে সেই পুজো বাইরে নিয়ে আসতেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। বন্ধ হয়ে যায় পুজো। যৌনকর্মীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত তাঁদের ৮ বাই ২০ ফুটের জায়গায় পুজো করার অনুমতি দেয়। যার ফলে ফের পুজো শুরু হয় সোনাগাছিতে।
‘পরিবেশকে বাঁচাতে হবে’, এই বার্তাই দেবে সোনাগাছি।
সম্প্রতি আমাজনের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। যৌনকর্মীদের বক্তব্য, “গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। তেলে গাড়ি চলছে, বাড়ছে দূষণ। তার ওপর তাপমাত্রার চোখ রাঙানি। কেবল নিজেদের কথা ভাবিনি। সবার কথা ভেবেই আমাদের এবারের থিম বিশ্ব উষ্ণায়ন।”
মসজিদ বাড়ি স্ট্রিটের পুজোর এবারের মূল মন্ত্র ‘পরিবেশ বাঁচাও’। পরিবেশ আন্দোলনকে পাথেয় করেই সেজে উঠবে মণ্ডপ।
নিজেরা সব পুজোয় আমন্ত্রিত না হলেও ‘নিষিদ্ধপল্লীর’ মানুষের পক্ষ থেকে কাজল দি-র আহ্বান, “আমাদের পুজোয় আসুন, আমাদের পুজোয় নিজেকে সামিল করুন।”
মসজিদ বাড়ি স্ট্রিটের পুজো এবার ৬ বছরে পা দেবে। কী, চিনতে পারলেন না তো? ভাবছেন, মসজিদ বাড়ি স্ট্রিট আবার কোথায়? উত্তর কলকাতার যৌনপল্লী, সোনাগাছিরই একটি রাস্তার নাম মসজিদ বাড়ি স্ট্রিট। ২০১৩ থেকে এই রাস্তার ওপরই দুর্বারের একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে পুজো করতেন যৌনকর্মীরা। পরে পুজো শুরু হয় রাস্তার ওপর। সেনিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। পুজো বন্ধও হয়ে যায়। মামলা হয়। হাইকোর্টের রায়ে পুজো করার অধিকার আদায় করে নেন যৌনকর্মীরা।
প্রতিবছরই সাবেকি ঘরণায় পুজো হয় সোনাগাছিতে। তবে এবার, থিমের ছোঁয়া এখানেও। শিল্পী রতন দলুইয়ের হাতে ধরেই প্রথমবার থিম পেতে চলেছে সোনাগাছির দুর্গা পুজো।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -