সিনেমার সেটে মাকে নিয়ে যাওয়ার চল শুরু হয়েছিল শ্রীদেবীর হাত ধরেই, ৫৫ তম জন্মদিনে প্রয়াত অভিনেত্রীর জীবনের কিছু আকর্ষণীয় কাহিনী
কিসিং সিন না করার ঘোষণা সত্ত্বেও গুরু সিনেমার সময় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। পরিচালক উমেশ মেহরা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে কিসিং সিনে শ্রীদেবীর বডি ডাবলের ব্যবহার করেছিলেন। এতে শ্রীদেবী ক্ষুন্ন হয়েছিলেন। বিতর্ক আরও বেড়েছিল যখন পরিচালক একটি ম্যাগাজিনকে বলেছিলেন যে, কিসিং সিন শ্রীদেবীই করেছিলেন। এই বিতর্কের পর শ্রীদেবীর সিনেমায় অভিনয়ের শর্ত আরও কঠোর হয়ে গিয়েছিল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশ্রীদেবী সর্বদাই নিজের শর্তে কাজ করতেন। ৮০-র দশকেই সিনেমায় চুম্বন ও ধর্ষণের মতো দৃশ্য থেকে দূরে থাকার কথা ৮০-র দশকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শ্রীদেবী সর্বদাই মা বা বোনকে নিয়ে যেতেন। মা-কে সেটে নিয়ে আসার সংস্কৃতি শ্রীদেবীই চালু করেছিলেন।
১৯৮৭-তে মুক্তিপ্রাপ্ত শ্রীদেবীর মিস্টার ইন্ডিয়া সিনেমা বলিউডের প্রথম কল্পবিজ্ঞান অবলম্বনে তৈরি কাহিনী। এই সিনেমা বলিউড তো বটেই, হলিউডেও ঝড় তুলেছিল।
কেরিয়ারের শুরুতে জীতেন্দ্র ও রাজেশ খন্নার সঙ্গে লাগাতার পারিবারিক সিনেমা করতে থাকেন। কিন্ত এই ধারার ছেদ পড়ে ১৯৮৬-তে। হরমেশ মালহোত্রর সিনেমা নাগিনা বক্স অফিসে আলোড়ন তুলেছিল। ওই বছরের সবচেয়ে ব্লকবাস্টার সিনেমা ছিল এটি। ঋষি কপূর নায়ক হলেও সিনেমার সাফল্যের ক্ষেত্রে শ্রীদেবীর নামই সামনে আসে।
রূপোলি পর্দায় জীতেন্দ্রর সঙ্গে শ্রীদেবীর জুটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত শ্রীদেবী বলিউডে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি। বলিউডে পা রাখার সময় ওজন বেশি ছিল শ্রীদেবীর। এ জন্য সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাঁ সৌন্দর্য্য ও অভিনয় প্রতিভার কাছে সেই সমালোচনা অচিরেই নস্যাত হয়ে যায়।
১৯৭৮-এ সোলওয়া সাওন-এর মাধ্যমে হিন্দি সিনেমায় পা রাখেন শ্রীদেবী। এরপর চার বছর তিনি কোনও সিনেমায় সই করেননি। ১৯৮৩-তে তিনি হিম্মতওয়ালা সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। ওই সিনেমায় তাঁর বিপরীতে ছিলেন জীতেন্দ্র। বক্সঅফিসে ওই সিনেমা ব্যাপক সাফল্য পায়। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হাজার হাজার অনুরাগীর স্বপ্নের রানী হয়ে ওঠেন তিনি।
১৯৬৩-র ১৩ আগস্ট তামিলনাড়ুতে এক তামিল পরিবারে তাঁর জন্ম। মাত্র ৪ বছর বয়সেই শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন তিনি। তার প্রথম তামিল সিনেমা থুনাইভন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত শ্রীদেবী শিশুশিল্পী হিসেবে তামিল, তেলগু, মলায়লম ও কন্নড় সিনেমায় কাজ করেন।
বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টার ছিলেন শ্রীদেবী। যে সাফল্য তিনি অর্জন করেছেন তা তাঁর আগে কোনও নায়িকাই পাননি।
জীবিত অবস্থায় জাতীয় পুরস্কার পাননি তিনি। কিন্তু মৃত্যুর পর মম সিনেমার জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই সিনেমায় এক শক্তিশালী মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। তাঁর অভিনয় সবার প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিল। ২০১৩ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।
গত ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে স্বামী বনি কপূরের ভাগ্নে মোহিত মারওয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। আর সেখানেই থেকে গেল তাঁর জীবনের সফর। ২৪ ফেব্রুয়ারি বাথটবে বড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। অন্তিম সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বামী বনি কপূর।
আজ বলিউডের প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর ৫৫ তম জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করছেন অগনিত অনুরাগী। প্রয়াত অভিনেত্রী সম্পর্কে কিছু অজানা কথা জেনে নেওয়া যাক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -