রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে ভারত ও বাংলাদেশে, আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
নিউ মেক্সিকো স্টেট ইউনিভার্সিটির সিসমোলজিস্ট জেমস নি বলেছেন, আগামী ২০১৭-র মধ্যে মায়ানমার বরাবর তাঁরা ৭০ টি সিস্মোমিটার বসাতে পারবেন বলে আশা করছেন। এরফলে ভূস্তরের টেকটোনিক প্লেটের এই টানাপোড়েন সম্পর্কে আরও স্পষ্ট চিত্র তাঁরা পাবেন। জেমস নি বলেছেন, গবেষকদের পর্যবেক্ষণ যদি সঠিক হয়, তাহলে যে ভূমিকম্প হতে পারে তা পূর্ব ভারতের শহরাঞ্চলকে ধ্বংস করে দিতে পারে। আর এর প্রভাব মায়ানমার ছাড়িয়ে অন্যত্রও পড়তে পারে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতবে এই শক্তি নির্গমন কবে ঘটতে পারে তা নির্দিষ্ট করে জানাননি বিজ্ঞানীরা। স্টেকলার বলেছেন, ওই ঘটনা আসন্ন বা আগামী ৫০০ বছর পরে ঘটবে-এমন কোনও পূর্বাভাস তাঁরা করছেন না। কিন্তু টানাপোড়েনের ফলে বিপত্তির সম্ভাবনা কিন্তু তৈরি হচ্ছে।
টেকটনিক প্লেটের এই গতিবিধির জন্য ভূগর্ভে গত কয়েক দশক ধরে টানাপোড়েন চলছে। স্টেকলার বলেছেন, গত চারশ বছর ধরে প্লেটগুলির মধ্যে এই টানাপোড়েন চলছে। এরফলে শক্তির যে নির্গমন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠলে রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ৮.২-এ পৌঁছতে পারে। এমনকি কম্পনের মাত্রা ৯-ও হতে পারে।
এই ভূমিকম্পের ফলে শুধুমাত্র কম্পন জনিত ক্ষতিই নয়, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ পথও বদলে যেতে পারে।এমনকি ভূমিভাগের স্তরেরও পরিবর্তন ঘটতে পারে। কেননা, ওই ভূমিভাগ এমনিতেই সমুদ্রের নিকটবর্তী। নেচার জিওসায়েন্স পত্রিকয় প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই সাবডাকশন জোনে ভূপৃষ্ঠের একাংশ বা একটি টেকটনিক প্লেট ধীরে ধীরে একে অপরের নিচে ঢুকে যাচ্ছে। এইভাবে ভূস্তরের এই টানাপোড়েনের ফলে ভূমিকম্প হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তাঁদের কেউ কেউ অনেকদিন ধরেই এ ধরনের বিপত্তির বিষয়টি সন্দেহ করেছিলেন।কিন্তু এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য বা কোনও মডেল ছিল না। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরির গবেষক দলের প্রধান ভূপদার্থবিজ্ঞানী মিখায়েল স্টেকলার বলেছেন, এখন এ সংক্রান্ত তথ্য ও একটি মডেল পাওয়া গিয়েছে। এখন ভূমিকম্পের তীব্রতা নিয়ে একটা ধারণা পোষণ করা সম্ভব।
তবে গবেষকরা আসন্ন কোনও ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেননি। তবে এ ধরনের বিপত্তির আশঙ্কা রয়েছে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।
দুই প্লেটের টানাপোড়েনের ফলে তারা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সমগ্র অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশের ভূস্তরের নিচে দুই টেকটনিক প্লেটের ক্রমবর্ধমান টানাপোড়েনের প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের নিচে ওই দুই টেকটনিক প্লেটের অবস্থান।
বাংলাদেশ এবং ভারতে ভবিষ্যতে বড়সড় ভূমিকম্প হতে পারে। তবে ওই ভূকম্প আসন্ন, এমনটা না বললেও বিজ্ঞানীদের অনুমান, এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৯ ছুঁতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -