বৃহস্পতির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে নাসার মানবহীন মহাকাশযান ‘জুনো’। এই মহাকাশযান সম্বন্ধে জেনে নিন
নাসার বিজ্ঞানীরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মঙ্গলবার ভোর থেকেই শুরু হয়ে যাবে কাজ।
২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতি ও এটির দুই উপগ্রহ ইও এবং গ্যানিমিডের ছবি তোলেন শখের মহাকাশচারী ড্যামিয়েন পিচ।
জুনোকে বৃহস্পতির কক্ষপথে প্রবেশ করানোর জন্য বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে হবে বিজ্ঞানীদের। ৩৫ মিনিট ধরে এই মহাকাশ যানের প্রধান ইঞ্জিন উত্তপ্ত করে গতি কমিয়ে সেকেন্ডে ৫৪২ মিটার করতে হবে। তবেই সফল হবে এই অভিযান।
১৯৭৩ সালে প্রথম বৃহস্পতি গ্রহে মহাকাশযান পাঠানো হয়েছিল। তবে এবারই বৃহস্পতির মেঘের চাদর ভেদ করে ভূ-পৃষ্ঠের ছবি তোলার চেষ্টা করবে জুনো।
এই অভিযানের মোট খরচ ১১০ কোটি মার্কিন ডলার।
আগামী ২০ মাস ধরে বৃহস্পতির চারপাশে ঘুরবে জুনো। এই মহাকাশযানটি অন্তত ৩৭ বার বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করবে বলেই আশা নাসার বিজ্ঞানীদের।
জুনোর আকৃতি একটি বাস্কেটবল কোর্টের মতো। এটি বৃহস্পতির মেঘের ৩ হাজার মাইল উপর দিয়ে ঘুরবে। এর আগে কোনও মহাকাশযান বৃহস্পতির এত কাছে যেতে পারেনি।
বৃহস্পতিকে একটি দৈত্যাকার গ্রহ বলে উল্লেখ করে এই অভিযানের প্রধান বিজ্ঞানী স্কট বোল্টন বলেছেন, বৃহস্পতি এত জোরে ঘোরে যে এর চারপাশে থাকা গ্রহাণুগুলিও এর সঙ্গে ঘুরতে থাকে। যার ফলে একটা সময় সেগুলি বৃহস্পতির ‘অস্ত্র’ হিসেবে কাজ করে।
নাসার বিজ্ঞানীরা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে জুনো-কে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাঁরা তিন সেকেন্ডের রেডিও বার্তার অপেক্ষায় আছেন। এই বার্তাই বলে দেবে, অভিযান সফল।
এই অভিযান থেকে সৌরমণ্ডলের গঠন সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে বলেই নাসা সূত্রে বলা হচ্ছে।
পাঁচ বছর আগে বৃহস্পতির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল জুনো। মঙ্গলবার গন্তব্যে পৌঁছতে চলেছে এই মহাকাশযান।
আর মাত্র একটি দিনের অপেক্ষা। তারপরেই বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে ‘জুনো’। সব ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবার দুপুর ১ টা ২০ মিনিট নাগাদ বৃহস্পতির কক্ষপথে ঘোরা শুরু করতে চলেছে জুনো। ছবি সৌজন্যে নাসা