ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির ‘আইএনএস চেন্নাই’ রণতরী
পাশাপাশি, জাহাজে রয়েছে জাহাজ ও সাবমেরিন বিধ্বংসী টর্পিডো। এতে রয়েছে সর্বাধুনিক রেডার এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টি শিপ এবং অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট গান। জানা গিয়েছে, জাহাজটি পরমাণু, জৈব এবং রাসায়নিক যুদ্ধেও সমান পারদর্শী।
দৈর্ঘ্যে ১৬৪ মিটার, ওজন সাড়ে ৭ হাজার টন। ‘আইএনএস চেন্নাই’ বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহত্তম ডেস্ট্রয়ার। জাহাজে রয়েছে অত্যাধুনিক সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, বারাক-৮ দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র।
এটি হল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তৃতীয় ডেস্ট্রয়ার। এই শ্রেণির প্রথম জাহাজ হল ‘আইএনএস কলকাতা’। দ্বিতীয় হল ‘আইএনএস কোচি’। জাহাজটি তৈরি করেছে মুম্বইয়ে নৌসেনার নিয়ন্ত্রণাধীন মাজগাঁও ডকে। এটি কেন্দ্রের ১৫এ প্রকল্পের শেষ রণতরী।
ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হল নতুন গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ‘আইএনএস চেন্নাই’ রণতরীকে। নৌসেনা প্রধান সুনীল লানবা সহ একাধিক শীর্ষ পদাধিকারিকের উপস্থিতিতে এই জাহাজকে অন্তর্ভুক্ত করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর।
এই উপলক্ষ্যে পর্রীকর জানান, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে ৭৫ শতাংশ স্বনির্ভর হওয়াই লক্ষ্য ভারতের। পাশাপাশি, জঙ্গি নিকেশ নিয়েও এদিন ভারতের ভাবনাচিন্তা স্পষ্ট ব্যক্ত করেন তিনি। সার্জক্যাল স্ট্রাইক প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, ভারত আগ্রাসী ভূমিকা নেবে না। তাই বলে হামলা হলে চুপ করেও বসে থাকবে না।