ভারতের বিভিন্ন অংশে খরার ভয়াবহ ছবি দেখুন
কর্ণাটকের ১২টি জেলা খরার কবলে। কয়েকটি জায়গায় যে জল আছে তা পানের যোগ্য নয়। তাই বাধ্য হয়েই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কুয়োয় নেমে জল ভরতে হচ্ছে মানুষকে
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকর্ণাটকের পাশাপাশি দুটি গ্রামের একটিতে জল আছে, অন্যটিতে আছে। দুগ্রামের মানুষই জল নেন। বাধ্য হয়ে তাঁরা চুক্তি করেছেন। যে গ্রামে জল নেই সেই গ্রামের মানুষ রাতে এসে জল ভরে নিয়ে যাচ্ছেন আর ওই গ্রামের মানুষ দিনের বেলা জল নিচ্ছেন
উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডে জলের এমনই সঙ্কট যে পরিবারের সবাইকে এমনকী শিশুদেরও কয়েক কিলোমিটার দূরে হেঁটে গিয়ে জল নিয়ে আসতে হচ্ছে
উত্তরপ্রদেশ সরকার খরাবিধ্বস্ত অঞ্চলের মানুষকে সাহায্য করার জন্য তাঁদের সবজি বিলি করছে। কিন্তু সবার কাছে এই সাহায্য যাচ্ছে না। অনেকেই সরকারি সাহায্য না পেয়ে অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন
মহিলাদের মতোই পুরুষরাও কোনও কাজ পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে তাঁরা মুম্বই, পুণে, নাগপুরের মতো বড় শহরগুলিতে দিনমজুরের কাজ করতে চলে যাচ্ছেন
উত্তরপ্রদেশের এই বৃদ্ধর দুই ছেলেই রায়গড়ে লোহার কারখানায় কাজ করে। গ্রামের আরও অনেকেই কাজের খোঁজে চলে গিয়েছে। এখন বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রী গ্রামে পড়ে রয়েছেন
খরার ফলে গ্রামে কোনও কাজ না পেয়ে অনেকেই দূর গ্রাম থেকে কাজের খোঁজে শহরে আসছেন। সক্কু বাই নামে এই মহিলা বাড়িতে বাচ্চাদের রেখে রোজ সকালে লাতুরে আসছেন। কিন্তু কোনও কাজ না পেয়ে দিনের শেষে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন
লাতুরের বাসিন্দা ১৫ বছর বয়সি পবন ক্লাস নাইনে পড়ে। তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছে। তিন মাস ধরে ডায়ালিসিস চলছে। জল কম পান করার জন্যই তার শরীরে এই রোগ বাসা বেঁধেছে
মারাঠাওয়াড়ার বাসিন্দা বলিরাম নামে এই ব্যক্তি ১৪ এক জমির মালিক। কিন্তু জল না থাকায় এবার চাষ করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে মুম্বইয়ে গিয়ে রোজ ৪০০ টাকার বিনিময়ে দিনমজুরের কাজ করছেন বলিরাম
মহারাষ্ট্রেরই বিড় জেলায় সচিন নামে সাত বছরের একটি ছেলে ভাইয়ের সঙ্গে কুয়ো থেকে জল আনতে গিয়েছিল। গোটা অঞ্চলে ওই একটি কুয়োতেই জল ছিল। সেখান থেকে জল নিতে গিয়ে কুয়োর মধ্যে পড়ে যায় সচিন। তাকে যখন জল থেকে তোলা হয় তখন তার দেহে আর প্রাণ নেই
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল খরার কবলে পড়েছে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়ার। এখানে জলের অভাবে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া, মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গিয়েছে। ১৪ একর জমির মালিক চাষ করতে না পেরে মুম্বইয়ে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -