কোহিনূর ফেরানোর দাবি নাকচ করে কী বললেন ব্রিটেনের মন্ত্রী, দেখুন
১৯০১ সালে রাজা সপ্তম এডওয়ার্ডের স্ত্রী রানি আলেকজান্দ্রিয়ার মুকুটে কোহিনূর বসানো হয়। ১৯১১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জের স্ত্রী মেরির মুকুটে বসানো হয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৮৪৯ সালে দ্বিতীয় ইংরেজ-শিখ যুদ্ধে জয়লাভ করে ‘লাহৌর চুক্তি’ করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এই চুক্তিতে বলা হয়, যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে রানি ভিক্টোরিয়াকে কোহিনূর উপহার দেবেন রঞ্জিত সিংহের উত্তরাধিকারী দলীপ সিংহ। চুক্তি অনুসারে তখন ১৩ বছর বয়সি দলীপ ব্রিটেনে গিয়ে রানির হাতে কোহিনূর তুলে দেন।
১৮১৩ সালে কাশ্মীরের রাজা আতা মহম্মদ খানকে যুদ্ধে হারিয়ে তাঁর কাছ থেকে কোহিনূরের দখল নেন রঞ্জিত সিংহ।
১৮৫১ সালে লন্ডনের হাইড পার্কে সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য কোহিনূর রাখা হয়। পরের বছর হীরেটি কেটে রানি ভিক্টোরিয়ার ব্রোচে লাগানো হয়।
১৯৩৭ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জের স্ত্রী রানি এলিজাবেথের মুকুটে নতুন করে বসানো হয় কোহিনূর।
কিন্তু এই বক্তব্যে দেশের ভিতরে তীব্র আপত্তির ঝড় ওঠায় সরকার চাপে পড়ে জানায়, কোহিনূর ফিরিয়ে আনতে সবরকম প্রয়াস চালানো হবে। শর্মা বলেন, ভারত থেকে ১৩টি প্রত্যর্পণের আবেদন বকেয়া রয়েছে ব্রিটেনের কাছে। সেগুলির প্রক্রিয়া মসৃণ করা, দু দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করার ওপরই জোর দিচ্ছেন তাঁরা।
তামাম দুনিয়ার অন্যতম সবচেয়ে বড় হিরেটি ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পথে যে প্রধান আইনি বাধাগুলি রয়েছে, সেগুলির অন্যতম হল, সেটি ব্রিটেনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রাক-স্বাধীনতা আমলে। ফলে সেটি ১৯৭২ সালের অমূল্য প্রত্নদ্রব্য ও প্রাচীন শিল্পসামগ্রী আইনের আওতায় পড়ে না। তার ওপর গত এপ্র্রিলে কেন্দ্রের সরকারই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দেয়, কোহিনূর ব্রিটিশরা ‘জোর করে কেড়ে নিয়ে চলে যায়নি’, সেটি তত্কালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে উপহার দিয়েছিলেন পঞ্জাবের সে সময়কার শাসকরা। সম্ভবত ওখানেই ভারতের দাবির ধার কমে যায়।
তিনদিনের ভারত সফরে আসা ব্রিটিশ মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত অমূল্য রত্নটি ফিরে পাওয়ার জন্য যে আইনি যুক্তি পেশ করেছে, তা একেবারেই দুর্বল। তিনি বলেছেন, ব্রিটিশ সরকার মনে করে, ওই হিরে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবির পিছনে কোনও আইনি ভিত্তি নেই।
ভারত সরকার কোহিনূর দেশে ফেরানোর জন্য আইনি লড়াইয়ে নামলেও তাতে শেষ পর্যন্ত সাফল্য আসবে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠে গেল। সংশয়ের মেঘ ছড়াল ভারত সফরে আসা ব্রিটেন সরকারের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রী অলোক শর্মার বক্তব্যে। কোহিনূর ফেরানোর ব্যাপারে কোন আইনি রাস্তায় হাঁটতে হবে, কী কী আইনি, পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সে সম্পর্কে কিছুদিন আগেই বিস্তারিত আলোচনা করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -