কলকাতা: বাঙালির ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর (Bhoot Chaturdashi) দিন ১৪ শাক খাওয়া থেকে শুরু করে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো পর্যন্ত একাধিক নিয়ম রীতি পালিত হয়। তবে এই দিনটিকে দেশের একাধিক এলাকায় নরক চতুর্দশী (Narak Chaturdashi) হিসাবেও পালন করা হয়। ভূত চতুর্দশী ঘিরে বলি দানবের কাহিনি অনেকেই জানেন। তবে নরক চতুর্দশী ঘিরে কোন কোন কাহিনী প্রচলিত রয়েছে ?
নরক চতুর্দশী দীপাবলির এক দিন আগে এবং ধনতেরসের একদিন পরে উদযাপিত হয়। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, নরক চতুর্দশী কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়।
এটি ছোট দিওয়ালি, রূপ চৌদাস, নরকা চৌদাস, রূপ চতুর্দশী বা নরকা পূজা নামেও পরিচিত। এই দিনে মৃত্যুর দেবতা যমরাজ ও শ্রীকৃষ্ণের পূজা করার বিধান রয়েছে।
পৌরাণিক কাহিনী
বরাহ এবং ভূদেবীর সন্তান নরকাসুর। বরাহ মূলত বিষ্ণুর আরও এক অবতার। যতই দিন যায় নরকাসুরের তেজ বাড়তে থাকে। এদিকে তপস্যা করে প্রতাপতি ব্রহ্মার থেকে নরকাসুর এমন বরলাভ করেন যাতে তার মান ভূদেবী ছাড়া নরকাসুরকে কেউ হত্যা করতে পারবে না। এরপর ধ্বংসলীলায় মতে ওঠে নরকাসুর।
এরপর যতই শক্তি সঞ্চয় করে এই দানব ততই তার ধ্বংস বাড়তে থাকে। একবার শ্রীকৃ্ষ্ণকে সে আক্রমণ করতে যায়। তখনই নরকাসুরের মা ভূদেবীর রূপ ধারণ করে অসুর দমন করেন শ্রীকৃষ্ণ। এরপর শ্রীকৃষ্ণ সত্যভামা রূপে নরকাসুরের কাছে অবতীর্ণ হন। সেই সময় বলি রাক্ষসের মতো মতো নরকাসপরও একই বর চান।
কথিত রয়েছে, শ্রীকৃষ্ণের কাছে নরকাসুর অনুরোধ করেন যে, পৃথিবীতে এমন একটি দিন যেন তার নামে দেওয়া হয়, যেদিন নরকাসুপরকে সকলে পুজো করবে। আর এভাবেই নরকাসুর অমর হয়ে থাকবে। 'তথাস্তু' বলে দেন শ্রীকৃষ্ণও। এরপরই নরক চতুর্দশীর দিন নরকাসুরের উদ্দেশে পুজোপাঠ হয়। যাতে আসুরিক অন্ধকার বিশ্বের ক্ষতি সাধন না করে।
মূলত দক্ষিণ ভারতে আড়ম্বর সহকারে নরকচতুর্দশী পালিত হয়। এদিন বহু বাড়িতে অলক্ষ্মীর পুজো বা যমের পুজো করে তাঁদের তুষ্ট রাখা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে নরক চতুর্দশীর দিন যমদেবের পূজা করলে অকালমৃত্যুর ভয় দূর হয়। এছাড়াও, সমস্ত পাপ নাশ হয়, তাই সন্ধ্যায় যমদেবের পূজা করুন এবং অবশ্যই বাড়ির দরজার উভয় পাশে প্রদীপ জ্বালান।
আরও পড়ুন, ধনতেরাসে গয়না কেনা সম্ভব নয়? পরিবর্তে ঘরে আনুন এই জিনিসগুলি
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।