প্রতি মাসেই থাকে শিবরাত্রি । প্রতি চন্দ্র-সৌর মাসে শিবরাত্রি থাকে। একে মাসিক শিবরাত্রি বলা হয়। কিন্তু মহা শিবরাত্রির গুরুত্বই আলাদা। আক্ষরিক অর্থে, মহাশিবরাত্রি মানে 'শিবের মহান রাত'। মহাশিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। হিন্দু মহাপুরাণ তথা শিবমহাপুরাণ অনুসারে মহাশিবরাত্রির রাতেই মহাদেব  মহা তাণ্ডব নৃত্যে রত হন। মনে করা হয়,  এই রাত্রেই শিব ও পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। মহাশিবরাত্রিতে শিব  শিবলিঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়েছিলেন।

  

এ বছর শিবরাত্রির দিন ও শুভ মুহূর্ত  



  • চতুর্দশী পড়বে ৮ মার্চ রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে । চতুর্দশী তিথির শেষ হচ্ছে ৯ মার্চ সন্ধে ৬টা ১৭ মিনিটে। শিবরাত্রিতে যেহেতু রাত জেগে মহাদেবের বিশেষ উপাসনা করা হয়, সেই কারণে মহাশিবরাত্রি পালিত হবে সূর্যোদয় ধরে অর্থাৎ  ৮ মার্চ।  


মনে করা হয়, শিবরাত্রিতে কয়েকটি জিনিস ঘরে আনলেই সৌভাগ্যের উদয় হয়। যেমন - 


 শিবলিঙ্গ :  
মহাশিবরাত্রির দিন বাড়িতে নিয়ে আসুন শিবলিঙ্গ । এটি বাস্তু দোষ, কালসর্প দোষ এবং পিত্র দোষ থেকে মুক্তি দেয়। 


রুদ্রাক্ষ  :
রুদ্রাক্ষ শিব পুজোয় অন্যতম প্রয়োজনীয় জিনিস। মানুষের বিশ্বাস, যে ঘরে রুদ্রাক্ষ থাকে সেখানে শিবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। মহাশিবরাত্রির দিন রুদ্রাক্ষ বাড়িতে নিয়ে আসা শুভ।  কথিত আছে রুদ্রাক্ষ  সমস্ত রোগ, দোষ ও দুঃখ হরণ করে। 


তামার কলস : 
মহাশিবরাত্রির দিন একটি তামার কলস কিনে বাড়িতে নিয়ে আসুন। এতে পরিবারে সমৃদ্ধি আসে। মহাশিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে তামার কলস দিয়ে মহাদেবের জলাভিষেক করতে হবে।


সপরিবারে শিবের ছবি : 
আপনার পরিবারের মঙ্গলকামনায় মহাশিবরাত্রির দিন শিবের পরিবারের ছবি বাড়িতে আনুন। মনে রাখবেন সেই ছবিতে যেন ভগবান ভোলানাথ, মাতা গৌরী, ভগবান গণেশ, ভগবান কার্তিকেয় এবং  নন্দী ও বাসুকিকেও থাকতে হবে। বাড়িতে সপরিবার শিবের  ছবি রাখলে আপনার পরিবারেও একাত্মবোধ ও শান্তি আসবে। 


যানবাহন এবং রৌপ্য :  
আপনার কি যানবাহন কেনায় আগ্রহ, কিংবা সোনা বা রুপো কেনার ইচ্ছে ? মহাশিবরাত্রি একটি শুভ সময় ।  এমন পরিস্থিতিতে মহাশিবরাত্রির দিন সম্ভব হলে যানবাহন ও রুপো কিনুন। এতে ঘরে সুখ আসে।  


ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।