কলকাতা : আগামী ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এই ব্রত পালনের দিন। বাংলার তারিখ ২৯ চৈত্র ১৪২৯।চৈত্র মাসের নীলষষ্ঠীর ব্রত পালনের রীতি বহুকালের। ব্রতকথায় পুত্রসন্তানের মঙ্গলকামনার কথা বলা হলেও, কন্যা-পুত্র উভয়ের কল্যাণের জন্যই মায়েরা পুজো করে থাকেন। চড়ক পুজোর আগের দিন মহা আড়ম্বরে মন্দিরে মন্দিরে পূজিত হন মহাদেব। 



  • বেল পাতা ভগবান শিবের খুব প্রিয়। শিবলিঙ্গে অর্পণ করার আগে মনে রাখবেন বেলপত্রের তিনটি পাতাই যেন সম্পূর্ণ হয় এবং ভেঙে না যায়।

  • এর মসৃণ অংশ যেন শিবলিঙ্গ স্পর্শ করে। নীল কমলকেও ভগবান শিবের প্রিয় ফুল বলে মনে করা হয়। অন্যান্য ফুলের মধ্যে ধুতুরা, অপরাজিতা, জুঁই, নাগ কেশর, আকন্দ ইত্যাদি ফুল নিবেদন করা যেতে পারে।

  • ফুল টাটকা হওয়া উচিত এবং বাসি নয়। যে ফুলগুলি নিষিদ্ধ তা হল- কদম্ব, কেভদা, কেতকী।

  • এই দিনে কালো কাপড় পরবেন না।

  • শুধু পুজোয় অক্ষত ফল নিবেদন করুন।

  • ভগবান শিবের পুজোয় ভুল করেও ভাঙা চাল দেওয়া উচিত নয়।

  • শিবের পুজো করার সময় শঙ্খ থেকে জল দেওয়া উচিত নয়।

  • শিবের উপাসনায় তুলসীর ব্যবহার নিষিদ্ধ।

  • শিবের পুজোয় তিল দেওয়া হয় না।

  • ভগবান শিবের প্রতিমায় নারকেল নিবেদন করা যেতে পারে, কিন্তু নারকেল জল নয়।

  • হলুদ এবং কুমকুম  ভগবান শিবের পুজোয় ব্যবহার করা উচিত নয়। 


সন্তানের মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালিত হয়। সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনা করেন মায়েরা। অনেকে সন্তানলাভের জন্যও ষষ্ঠীর ব্রত করেন। বিশ্বাস, নীলষষ্ঠী ব্রত করলে তাদের সন্তানদের অমঙ্গল হয় না।   


আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন জিনিসগুলি শিবের খুব প্রিয়।



  • এক গ্লাস জল খেয়েও তিনি খুশি হন। সকালে স্নান করে শিব মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করলে শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।  

  • শিবলিঙ্গে জাফরান অর্পণ করলে মানুষ সুখ শান্তি পায়। অন্যদিকে চিনি দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং দারিদ্র্য দূর হয়।

  • ভোলানাথও সুগন্ধিও খুব পছন্দ করেন বলে মানুষের মনে বিশ্বাস।বিশ্বাস করা হয় যে শিবলিঙ্গে সুগন্ধি লাগালে মনের চিন্তা শুদ্ধ ও শুদ্ধ হয়। শিবলিঙ্গে দুধ অর্পণ করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং মানুষের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।

  • দই এবং ঘিও ভগবান শিবের খুব প্রিয়। এগুলো নিবেদন করলে জীবনে আসা ঝামেলা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশ্বাস এই ভাবে পুজো করলে জনমনে ভক্তের মান মর্যাদাও বাড়ে।

  • চন্দন নিবেদন করেও ভোলেনাথ প্রসন্ন হন। শিবলিঙ্গে চন্দন অর্পণ করলে মানুষ সমাজে সম্মান ও খ্যাতি পায়।

  • শিবলিঙ্গে বেলপত্র নিবেদনকারী ভক্তদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।