যুবভারতীকাণ্ডের সঙ্গে আমরা যদি আরজিকরকাণ্ডের সরাসরি তুলনা করি, তফাৎ কিন্তু প্রচুর। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অত অভিযোগ ওঠার পরও তাঁকে প্রাইজ পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্যালে। অনেক পরে ঘটনাপ্রবাহে বিনীত গোয়েলকে সরতে হয়েছিল, সেটা ঠিক। কিন্তু পুলিশকর্তাদের পাশে আন্দোলনের ওই প্রবল চাপ, ওই লাগাতার অনশন, আমরণ অনশন চলা সত্ত্বেও আগাগোড়া রাজ্য সরকার ছিল। এই প্রথম যুবভারতীকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুটবলপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন। দেড় বছরের মধ্যে এই তফাৎ কি ভোট বলে? এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক শুভময় মৈত্র বলেন, 'আমার মনে পড়ছে ২০০০ সালে বামফ্রন্টের অবস্থার কথা। বামফ্রন্টের মধ্যে হাওয়া উঠেছিল, জ্যোতি বসু সরে গেলে ভাল হয়। তারপর ২০০১ সালে বামফ্রন্ট জেতে। তখন প্রায় খবর হয়েছিল যে তাঁরা ক্ষমতা থেকে চলে যেতে পারেন। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, শুধু আজ নয়, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের ক্রমাগত অভিযোগ রয়েছে। ব্যক্তি আক্রমণে গিয়ে লাভ নেই। আরজি কর, সল্টলেক স্টেডিয়ামের বিষয়গুলি বোঝাচ্ছে যে তৃণমূল রাজধর্ম পালন করতে পারছে না। শুধু হিন্দু-মুসলিম ছাড়াও এখন গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের কাছে যেটা, তা রাজধর্ম। ১৯৮০ সালে জ্যোতি বসু শুধু মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। ক্রীড়া দফতরের দায়িত্ব প্রাপ্ত। এখন প্রশ্ন আসবে জ্যোতি বসু তখন কেন পদত্যাগ করেননি। আর সেই সঙ্গে এই প্রশ্নটাও আসবে যে কংগ্রেস কেন পদত্যাগের দাবি সেদিন তোলেনি।।'