নয়াদিল্লি: পাতিয়ালায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টসে (এনআইএস) বক্সিং শিবিরে করোনা সংক্রমিত হলেন ১৪ জন খেলোয়াড় এবং চারজন কোচ। সোমবারই স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই) দেশজুড়ে ৬৭টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে পাতিলায়ায় বক্সিং শিবিরে এতজন করোনা সংক্রমিত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। এই শিবিরটিও বন্ধ রাখা হবে কি না, সে বিষয়ে অবশ্য এখনও কিছু জানা যায়নি।
বক্সিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (বিএফআই) সেক্রেটারি-জেনারেল হেমন্ত কালিতা জানিয়েছেন, ‘১৪ জন খেলোয়াড় এবং চারজন কোচ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। তবে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও কারণ নেই। যাঁরা করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁরা এনআইএস-এর হস্টেলে কোয়ারেন্টিনে আছেন। তাঁদের শরীর ভাল আছে। কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।’
দেশে যে ২৩টি ন্যাশনাল সেন্টারস অফ এক্সেলেন্স আছে, তার অন্যতম এনআইএস পাতিয়ালা। সেখানে বক্সিং শিবিরে এখন ৬৩ জন খেলোয়াড় ও ২৭ জন কোচ আছেন। মঙ্গলবারই এই শিবিরে অলিম্পিয়ান অমিত পাঙ্ঘাল, মণীশ কৌশিক, বিকাশ কৃষাণ, সতীশ কুমার ও আশিস কুমারকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল তাঁদের কাছে শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। পাঙ্ঘাল ও আশিসের রবিবার এই শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা। অক্টোবরে হওয়া শিবিরে তাঁরা ছিলেন না। এবার তাঁরা ডাক পেয়েছেন। কিন্তু করোনা যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে বক্সিং শিবির কতদিন চলবে, সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে।
বিএফআই-এর সেক্রেটারি-জেনারেল অবশ্য বলছেন, ‘পুরুষ বক্সারদের জাতীয় শিবির যেমন চলছে তেমনই চলবে। অন্যান্য বক্সাররা অনুশীলন চালিয়ে যাবেন। ৯ দিনের ছুটির পর ৩ জানুয়ারি থেকে শিবির চালু হয়েছে। ১৪ মার্চ পর্যন্ত শিবির চলার কথা।’
৬ জানুয়ারি পাতিয়ালা জেলায় গোটা পঞ্জাবের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ ছড়ায়। এরপরেই স্বাস্থ্য বিভাগ এনআইএস-কে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে। এরই মধ্যে চলছে শিবির।