সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ফাইনালে ব্যাট করতে নামতে হয়নি। কিন্তু গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে ছিলেন দুরন্ত ছন্দে। একটি স্টাম্পিংও করেন। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে স্কটল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ঝলসে উঠেছিল তাঁর ব্যাট। মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের উইকেটকিপার রিচা ঘোষকে (Richa Ghosh) চমক দেবেন বলে ভেবে ফেলেছেন বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ।
কী সেই চমক?
'ও বহুদিন ধরে একটি গাড়ির বায়না করছিল। অনূর্ধ্ব ১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর আর নিষেধ করতে পারিনি। আগেই ভেবে রেখেছিলাম। ওর জন্য একটা গাড়ি বুক করেছি,' এবিপি লাইভকে বলছিলেন গর্বিত বাবা। মানবেন্দ্রই রিচার প্রথম কোচ। শিলিগুড়িতে তাঁর হাত ধরেই বাইশ গজে প্রবেশ রিচার। মানবেন্দ্র এখন আম্পায়ার। সিএবি-র স্থানীয় ক্রিকেটের ম্যাচ পরিচালনা করেন। সোমবার ময়দানের বাটা মাঠে ম্যাচে আম্পায়ারিং করাচ্ছেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে বিশ্বকাপজয়ীর বাবা বলছিলেন, 'রিচা কথা দিয়েছে, আরও ভাল পারফর্ম করবে। অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের হয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার সিনিয়র ভারতীয় দলের হয়েও বিশ্বকাপ জিততে চায়।'
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ভাসছেন ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্যরা। মাঠের মধ্যে তাঁদের 'কালা চশমা' গানের তালে নাচ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। উৎসবের আবহে রিচা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভিডিও কল করেছিলেন বাবাকে। মানবেন্দ্র বলছেন, 'ভিডিও কলে ওর সব সতীর্থের সঙ্গে কথা বলিয়েছে রিচা। কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গেও আলাপ করিয়েছে। আমি সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছি।'
ফাইনালে ভারতীয় দলে বাংলা থেকে ছিলেন তিনজন। রিচা ছাড়াও খেলেছেন তিতাস সাধু ও হৃষিতা বসু। মানবেন্দ্র বলছেন, 'বাংলা ক্রিকেটের জন্য দারুণ খুশির মুহূর্ত। একসঙ্গে তিনজন ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, এটা বিরাট ব্যাপার।' যোগ করলেন, 'অনেক প্রতিকূলতার মুখে পড়েছে রিচা। তবে ও হাল ছাড়েনি। পরিশ্রম করেছে। তার পুরস্কারও পেল। আপাতত সিনিয়র দলের হয়ে বড় মঞ্চে সফল হওয়াকেই পাখির চোখ করছে রিচা।'
ঋদ্ধিমান সাহার পর শিলিগুড়ি থেকে উঠে আসা আর এক উইকেটকিপার-ব্যাটারকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বাংলা ক্রিকেট।