কলকাতা: তাঁর দল যে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের জন্য তৈরি এবং ভারত যে এশিয়ার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের মূলপর্বে খেলবে, এই ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় দলের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচ। বুধবার থেকে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হচ্ছে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব। গ্রুপ ডি-তে বুধবার ভারত তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে, শনিবার তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান এবং আগামী মঙ্গলবার তাদের শেষ প্র্রতিপক্ষ হংকং। এরা প্রত্যেকেই ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের নিচে রয়েছে। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ছ’টি গ্রুপের জয়ীরা যেমন মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, তেমনই দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দলগুলির মধ্যে থেকে সেরা পাঁচটি দলকে মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তার আগে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ কী বললেন-


কাল সামনে কম্বোডিয়া? প্রস্তুতি কেমন হয়েছে?


স্টিমাচ: ক্রমতালিকায় কে কত নম্বরে রয়েছে? সে সব আমি দেখি না। কম্বোডিয়া এখানে শুধু অংশগ্রহণ করতে আসেনি। ওরাও এখানে জিততেই এসেছে। ভারত যখন ১৮৪ বা ১৫০ ছিল, তখন ভারতও শুধু অংশ নিতে বা হারতে যেত না, জিততেই যেত। কখনওই আমি বলব না যে কাউকে সহজেই হারানো যাবে। কারণ, তাতে আমার দলের মোটিভেশনে ক্ষতি হবে। আমাদের মধ্যে জেতার খিদে থাকতে হবে এবং জেতার জন্য আমাদের তৈরিও থাকতে হবে। আমাদের উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামতে হবে। আমরা যদি মনে করি কোনও ম্যাচ সহজেই জিতে নিতে পারব, তা হলে তা হওয়ার সম্ভাবনা কম। আধুনিক ফুটবলে সহজ ম্যাচ বলে কিছু হয় না। 


যুবভারতী চেনা মাঠে চেনা সমর্থকদের মাঝে খেলা, বাড়তি সুবিধে?


স্টিমাচ: আশা করি, তাঁরা জাতীয় দলের হয়ে গলা ফাটানোর জন্য দলে দলে স্টেডিয়ামে আসবেন, এসে ছেলেদের শক্তি বাড়াবেন। পায়ের, হৃদয়ের ও মনের শক্তি। ওঁরা গ্যালারিতে থাকলে আমাদের আনন্দও আরও বাড়বে। গতবারও ওঁরা হাজারে হাজারে খেলা দেখতে এসেছিলেন ও আমাদের প্রচুর সমর্থন জুগিয়েছিলেন। ছেলেদের প্রতি মুহূর্তে উজ্জীবিত করেছিলেন সমর্থকেরা। আশা করি এ বারেও সে রকমই সাহায্য পাব ওঁদের কাছ থেকে।


দলের আক্রমণ বিভাগের ভূমিকা নিয়ে আপনি খুশি?


স্টিমাচ: কোচ হিসেবে দলের কে গোল করল বা করল না, সেটা আমার কাছে বড় কথা নয়। আমার কাছে নিয়মিত গোল করে যাওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যারা শারীরিক ভাবে ও টেকনিকে আমাদের চেয়ে এগিয়ে, যেমন জর্ডন, বাহরিন, বেলারুশ, এই দলগুলির বিরুদ্ধে আমাদের গোল করতে হবে। এই দলগুলির বিরুদ্ধে আমরা কিন্তু প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি। সেই সময় অবশ্য সুনীল (ছেত্রী) দলে ছিল না এবং সেটা অন্যতম একটা কারণ। এই ধরনের ম্যাচে গোল করার মতো মানের খেলোয়াড় আমাদের দলে নেই। আন্তর্জাতিক স্তরে চাপ সামলে ভাল খেলার মতো তরুণ ফুটবলার অবশ্য আমাদের দলে আছে। তবে এদের আরও আগে থেকে এ রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি শুরু করা দরকার। যাতে ওরা চাপ সামলে ভাল ফল এনে দিতে পারে। এই কাজটা করতে সময় লাগবে। আমরা যদি সেই ধৈর্য্য নিয়ে কাজ করতে পারি, তা হবে ভাল কিছু হতে পারে।                                                          --------- তথ্য সংগ্রহ আইএসএল মিডিয়া