কাবুল: দেশে টালমাটাল পরিস্থিতি। তালিবানদের কবলে চলে গিয়েছে মুলুক। যাদের ভরসায় দিনবদলের স্বপ্ন দেখেছিল আফগানিস্তান, সেই মার্কিন সেনাবাহিনীও তল্পি গুটিয়ে দেশে ফিরে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আফগান ক্রিকেটারদের অনেকেই।


আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকে অবশ্য জানানো হয়েছিল যে, ক্রিকেটে বাধা দেবে না তালিবানরা। বরং সমর্থন করবে। বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে গেল। বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সঙ্গে ৫টি ওয়ান ডে ও একটি চারদিনের ম্যাচ খেলবে তারা। এদিন আফগান ক্রিকেট বোর্ড থেকে রীতিমতো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সেই খবর জানানো হল।



তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর টালমাটাল পরিস্থিতিতে সেদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেলেও, এ বছরের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছেন রশিদ খানরা। তালিবান এই সফরে অনুমোদন দিয়েছে। এমনই জানিয়েছেন আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ হামিদ শিনওয়ারি।


এবিপি আনন্দকে শিনওয়ারি জানিয়েছেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়ায় দল পাঠানোর বিষয়ে অনুমোদন পেয়েছি। ২৭ নভেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। ঘরোয়া লিগ আপাতত স্থগিত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা ঘরোয়া লিগ শুরু করে দেব। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ খেলতে যাব। তারপর আমরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে টি-২০ বিশ্বকাপে খেলতে যাব। ফলে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আমরা আরও একটি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজ হবে।’


তালিবানের দখলে আফগানিস্তান চলে যাওয়ার পর থেকেই সেদেশের ক্রীড়া ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে তালিবান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিরোধিতা না করায় কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে।


অস্ট্রেলিয়া সফরে একটিই টেস্ট ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান। হোবার্টে সেই টেস্ট ম্যাচটি হবে। করোনা অতিমারী এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় আফগানিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফর পিছিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত এই টেস্ট ম্যাচ হতে চলেছে।


ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ স্থগিত হলেও অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছে আফগানিস্তান