নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। শ্রীলঙ্কার (SA vs SL) বিরুদ্ধে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছিল তেম্বা বাভুমার (Temba Bavuma) দল। ম্য়াচে ব্যাট হাতে রেকর্ড গড়লেন এইডেন মারক্রাম (Aiden Markram)। বিশ্বকাপের ৪৮ বছরের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকানোর নজির গড়লেন ডানহাতি এই ব্যাটার। মাত্র ৪৯ বলে শতরান পূরণ করেন মারক্রাম। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও ব্রায়েন ৫০ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন। এদিন তাঁর রেকর্ড টপকে গেলেন মারক্রাম। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন তিন জন ব্যাটার শতরান করেন। প্রোটিয়া বাহিনীও বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোর করল। প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪২৮ রান বোর্ডে তুলে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ২ ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও তেম্বা বাভুমা। বাভুমা মাত্র ৮ রান করে ফিরলেও ডি কক ছিলেন চেনা ছন্দে। রাসি ভান ডার ডুসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। দু জনেই শতরান হাঁকান। এরপর সেই তালিকায় যোগ দেন মারক্রামও। ৮৪ বলে ১০০ রান করেন ডি কক। ডুসেন ১১০ বলে ১০৮ রান করেন। আর মারক্রাম আউট যখন হলেন তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৫৪ বলে ১০৬ রান। নিজের ইনিংসে ৩টি ছক্কা ও ১৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন মারক্রাম।
এদিন শ্রীলঙ্কার বোলারদের রীতিমত ক্লাবস্তলে নামিয়ে আনেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। নয়াদিল্লির ছোট মাঠকে একেবারে যথযথ কাজে লাগান ডুসেনরা। দিলশন মধুশনাকা ২ উইকেট নিলেও নিজের ১০ ওভারে ৮৬ রান খরচ করেন। ১০ ওভারে কসুন রজিথা ৯০ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন মাত্র। মাথিসা পাথিরানা মাত্র ১ উইকেট নেন ১০ ওভারে ৯৫ রান খরচ করে। ডি কক নিজের ইনিংসে ১২টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। অন্যদিকে ডুসেন তাঁর ইনিংসে ১৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতদিন দলীয় সর্বােচ্চ স্কোর ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৪১৭ রান করেছিল অজি ব্রিগেড। এবার সেই রানও টপকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। রেকর্ড এখন তাঁদের দখলে।