কলকাতা: সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা ও কোচ সুভাষ ভৌমিক। অপর এক প্রাক্তন তারকা সুরজিৎ সেনগুপ্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এরই মধ্যে রবিবার প্রয়াত হলেন মহমেডান স্পোর্টিংয়ের প্রাক্তন তারকা স্ট্রাইকা এন পাপ্পানা। তিনি এদিন মাইসুরুতে নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হয়েছেন।
মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে ১১৫টি গোল রয়েছে প্রয়াত তারকার। তিনি ১৯৬৭ সালে কলকাতা লিগজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। এছাড়া ১৯৬৯ ও ১৯৭০ সালে পরপর দু’বার বরদলোই ট্রফি, ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে স্ট্যাফোর্ড কাপজয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি।
১৯৬৮ সালে মারডেকা কাপে হংকংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় পাপ্পানার। ওই প্রতিযোগিতাতেই জাপানের বিরুদ্ধে গোল করেন তিনি। ভারতের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেন তিনি।
বাংলার হয়ে ১৯৬৭ সালে সন্তোষ ট্রফিও খেলেন পাপ্পানা। সেই প্রতিযোগিতায় তিনি দু’টি গোলও করেন।
পাপ্পানার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল পটেল বলেছেন, ‘শ্রী এন পাপ্পানা আর আমাদের মধ্যে নেই। এই খবর খুবই দুঃখজনক। ভারতীয় ফুটবলে তাঁর অমূল্য অবদান চিরকাল আমাদের সঙ্গে থাকবে। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস বলেছেন, ‘শ্রী পাপ্পানা তাঁর সাফল্যের মাধ্যমেই অমর হয়ে থাকবেন। তিনি একজন অসাধারণ ফুটবলার ছিলেন। অনেকের কাছেই তিনি অনুপ্রেরণা ছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা তাঁর আত্মার শান্তিকামনা করি।’
মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকেও ট্যুইট করে পাপ্পানার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।
খেলা ছাড়ার পর রেফারিং করেছেন পাপ্পানা। তিনি ছয় ও সাতের দশকের নামী ফুটবলার ছিলেন। তবে খেলা ছাড়ার পর ধীরে ধীরে গড়ের মাঠের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কমে আসে। তাঁর খেলা এখনও প্রবীণ ফুটবলপ্রেমীদের মনে আছে। অনেকেই এখনও তাঁর খেলায় মুগ্ধ। তাঁর প্রয়াণের খবর পেয়ে তাই অনেকেই শোকপ্রকাশ করছেন। সবাই তাঁর আত্মার শান্তিকামনা করছেন।