(Source: ECI | ABP NEWS)
Amol Muzumdar : সচিন-দ্রাবিড়দের যুগে ছেঁড়েনি ভাগ্যের শিকে, রঞ্জির অভিষেকেই রেকর্ড; বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এই 'দ্রোণাচার্য'কে চেনেন ?
Indian Women's Cricket Team: ১৯ বছর বয়সে, মুম্বইয়ের হয়ে ১৯৯৩-৯৪ সালে হরিয়ানার বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফির অভিষেকে বিশ্বরেকর্ড গড়েন মুজুমদার।

হরমনপ্রীত কৌর, শেফালি বর্মা, দীপ্তি শর্মা, স্মৃতি মন্ধনা, জেমিমা রডরিগেদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ। মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে ফেলল হরমনপ্রীত কৌর অ্যান্ড কোং-এর টিম ইন্ডিয়া। সকলে তাঁদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। গোটা দল যখন সাফল্যে মাতোয়ারা তখন পিছনে দাঁড়িয়ে চোখে জল ফেলছিলেন একটা মানুষ। ভারতের মেয়েদের এই সাফল্যের অন্যতম কারিগর। তিনি হলেন দলের হেড কোচ অমল অনিল মুজুমদার। আজ এই সফল মানুষটির অবশ্য নিজের কেরিয়ারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের সুযোগ হয়নি। কখনো সেই সুযোগ পাননি তিনি। অথচ মুজুমদার ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষণীয় একজন ব্যক্তিত্ব এবং একজন আপাদমস্তক সফল ঘরোয়া ক্রিকেটার। মুম্বইয়ের ক্রিকেট জগতে বেড়ে ওঠা, মুজুমদার কিংবদন্তি কোচ তথা সচিন তেন্ডুলকরের কোচ রমাকান্ত আচরেকরের অধীনে শারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরে ছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরে তরুণ সচিনের সঙ্গে ছিলেন। ধ্রুপদী, কব্জির ব্যাটিং স্টাইল গড়ে তুলেছিলেন অমল, যা সময়, স্থান নির্ধারণ এবং মেজাজের উপর নির্ভর করে। তাঁর স্কুলে ছাত্রাবস্থার কৃতিত্বও ছিল অসাধারণ।
১৯ বছর বয়সে, মুম্বইয়ের হয়ে ১৯৯৩-৯৪ সালে হরিয়ানার বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফির অভিষেকে বিশ্বরেকর্ড গড়েন মুজুমদার। ২৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। যা প্রায় ২৫ বছর ধরে টিকে ছিল। পরবর্তী দুই দশকে, তিনি মুম্বই ক্রিকেটের হৃদস্পন্দন হয়ে ওঠেন। ৪৮.১৩ গড়ে ১১,১৬৭ প্রথম-শ্রেণির রান সংগ্রহ করেন, যার মধ্যে ৩০টি সেঞ্চুরি। দীর্ঘদিন রঞ্জি ট্রফিতে রান সংগ্রহের রেকর্ড অক্ষত ছিল। ২০০৬-০৭ মরশুমে অধিনায়ক হিসেবে ফাইনালে বাংলাকে হারিয়ে মুম্বইকে তাদের ৩৭তম রঞ্জি শিরোপা এনে দেন। পরবর্তীতে অসম (২০০৯-২০১২) এবং অন্ধ্র (২০১৩-১৪)-র সঙ্গে তাঁর কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হয়, কিন্তু আন্তর্জাতিক নির্বাচন তাঁকে এড়িয়ে যায়। তেন্ডুলকর, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণ এবং গাঙ্গুলিদের আধিপত্যের যুগে, ভারতীয় মিডল অর্ডারে কোনও জায়গা ছিল না তাঁর। এমনকী ইন্ডিয়া এ-তে সেঞ্চুরি এবং ধারাবাহিকভাবে ১,০০০ রানের মরশুম কাটানো একজন খেলোয়াড় হয়েও। তাঁর গল্প ক্রিকেটারদের "ভুল যুগে জন্মগ্রহণ"-এর সবচেয়ে ধ্রুপদী উদাহরণগুলির মধ্যে একটি। এহেন অমল মজুমদারই আবার নতুন করে চর্চার শিরোনাম। কারণ, তাঁর তত্ত্বাবধানেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন ভারতের মেয়েরা। তাই তো, বিশ্বজয়ের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে এসে হেড কোচ অমল মমজুমদারের পা ছুঁতে দেখা যায় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরকে। যা ক্যামেরায় ধরা পড়ে।























