গোলাঘাট (অসম): ঘরে ফিরলেন লভলিনা বড়গোঁহাই। টোকিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন বক্সিংয়ে। এবার ঘরে ফিরলেন লভলিনা। আর অসমে নিজের গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথেই রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হল তাঁকে। অসমের গোলাঘাট জেলার বড়মুখিয়া গ্রামের বাসিন্দা লভলিনা। প্রায় ১ বছর পর বাড়ি ফিরলেন তিনি। তাঁকে দেখেই গ্রামের মানুষরা আপ্লুত হয়ে যান। 


লভলিনা তাঁর বাড়ির সবচেয়ে ছোট মেয়ে। মেয়ের এমন কৃতিত্বে বাবা, মাও আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন। ২৩ বছরের লভলিনা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার জন্য বাবা, মায়ের সঙ্গেও দীর্ঘদিন দেখা করতে পারেননি। এরমধ্যে আবার লভলিনার মা মামনি বড়গোহাঁইয়ের গত বছর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল। খারাপ সময়ও হাল ছাড়েননি লভলিনা। নিজের সঙ্গে লড়াই করে গিয়েছেন প্রতি মুহূর্তে। এছাড়াও ছিল কঠোর পরিশ্রম। যার ফল পেয়েছেন টোকিওয়। অসমের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিক্সের মঞ্চে পদক জিতেছেন ২৩ বছরের এই তরুণী। 


ডিমাপুর বিমানবন্দের লভলিনাকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন গোলাঘাটের প্রচুর সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ছিলেন বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ ফুকান, জেলার ডেপুটি কমিশনার সহ আরও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিও। চার চাকার গাড়িতে লভলিনাকে এসকর্ট করে নিয়ে আসা হয়। লভলিনা গাড়িতে ফিরছিলেন। রাস্তার দুধার থেকে পুস্পবৃষ্টি করা হয়। এলাকার সাধারণ মানুষের লভলিনাকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রত্যেকেই তাঁকে একবার ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করছিলেন।


এরপরই তাঁকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হল। এরপর গ্রামে এক সংবর্ধনা মঞ্চে লভলিনাকে সংবর্ধিত করা হয়। সংবর্ধনা দিলেন অসম গণ পরিষদের সভাপতি অতুল বোরা। তিনি উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা দেন ব্রোঞ্জজয়ী ঘরের মেয়েকে। এছাড়াও একটি বিশেষ উপহারও দেওয়া হয় তাঁকে। সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলার এসপি, ডিসি সহ অন্যান্য বিশেষ ব্যক্তিত্বরাও।
 

এর আগে ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফেও লভলিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সংবর্ধনা মঞ্চেই লভলিনা জানিয়ে দিলেন আগামী অলিম্পিক্সে আরও ভাল পারফর্ম করবেন। উল্লেখ্য, বক্সিংয়ে এই প্রথমবার অলিম্পিক্সের মঞ্চে নেমেছিলেন লভলিনা। আর প্রথমবারেই ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি।