দুবাই: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর, ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো, ভারতীয় ক্রিকেটে এই দৃশ্য নতুন কিছু নয়। ওয়াংখেড়ের ময়দানে ঠিক এই ভঙ্গিমায়ই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (Mahendra Singh Dhoni) ভারতের হয়ে ২৮ বছর পর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জয় সুনিশ্চিত করেছিলেন। হালে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় দলের তরুণ দীনেশ বানাও এইভাবে দলের বিশ্বখেতাব সুনিশ্চিত করেন। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় হার্দিক পাণ্ড্যও (Hardik Pandya) কিন্তু একইভাবে ছক্কা হাঁকিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের (IND vs PAK) বিরুদ্ধে ভারতের জয় সুনিশ্চিত করেন।


ধোনির রেকর্ড ভাঙলেন হার্দিক


ভারতের হয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে এই জয়সূচক ছক্কা হাঁকিয়েই ধোনির এক সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে ফেললেন হার্দিক। ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ বা তারও নীচে ব্যাট করতে নেমে সব থেকে বেশি ছক্কা হাঁকানোর নজির এতদিন ছিল প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক ধোনির দখলে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন হার্দিক। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে বিশ ওভারের ম্যাচে পাঁচ বা তার নীচে ব্যাটে নেমে তিনি মোট ৩৯টি ছক্কা মেরে ফেলেছেন। ধোনি ভারতের হয়ে এমন জায়গায় নেমে মোট ৩৮টি ছক্কা মেরেছিলেন। তাই শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়েই ধোনিকে এই নিরিখে ছাড়িয়ে গেলেন হার্দিক।


ধোনির অনুকরণ!


তবে ধোনিকে বরাবরই আদর্শ হিসাবে মেনে এসেছেন হার্দিক। ম্যাচ শেষে নিজের ইনিংসের বিষয়ে কথা বলতে গিয়েও সেই ধোনির প্রসঙ্গই টেনে আনেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, 'আমি পুরো বিষয়টা যতটা পারি সহজ রাখার চেষ্টা করি। মাহি ভাইকেও (ধোনি) অতীতে বহু ম্যাচে এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করতে দেখেছি। শুধু মাহি ভাইই নয়, আমি যেসকল ক্রিকেটারের সঙ্গেই খেলেছি, তাঁদের ভাল গুণগুলি সবসময় রপ্ত করার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় শুধু খেলার মাঠ নয়, জীবনেও ঠান্ডা মাথাই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। নিজের ব্যাটিংয়েও আমি তাই এই জিনিসটা সবসময় বজায় রাখার চেষ্টা করি।' 


অনেকটা ধোনির মতোই একেবারে অঙ্ক কষেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজের ইনিংস সাজান হার্দিক। 'আমার জন্য আসল ম্যাচটা ১৫ ওভারের পর থেকেই শুরু হয়েছিল। আমি জানতাম ডেথ ওভারের বোলার (নাসিম শাহ) অভিষেক ম্যাচ খেলছে, তাই ওর সব বল সঠিক জায়গায় নাও পড়তে পারে। তাই কয়েকটা ডট বল খেললেও সমস্যা ছিল না। কারণ ওদের একজন বাঁ-হাতি স্পিনারকে দিয়ে বল করাতে হত এবং ওদের ওভার রেটও কম ছিল। তাই এইসব ভেবেই ইনিংস শেষ অবধি নিয়ে যেতে চাইছিলাম আমি।' নির্ধারিত সময়ে ওভার শেষ করতে না পারায় পাকিস্তানকে শেষের দিকে একজন বাড়তি ফিল্ডারকে রিংয়ের মধ্যে রাখতে হয়েছিল। হার্দিক এখানেই সেই বিষয়টির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।


আরও পড়ুন: চোট সারিয়ে ফেরার পর থেকেই অপ্রতিরোধ্য হার্দিক, আসল রহস্যটা কী?