দুবাই: তিনি ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও বড় রান পাননি। মানসিকভাবে যে চাপে রয়েছেন, তা বিরাট কোহলির (Virat Kohli) একাধিক কথাবার্তায় প্রতিফলিত হচ্ছিল।


বুধবার এশিয়া কাপ -এ হং কংয়ের বিরুদ্ধে অবশ্য জ্বলে উঠল কোহলির ব্যাট। ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন। ধরে ফেললেন রোহিত শর্মাকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক হাফসেঞ্চুরি করার নিরিখে। কোহলির মোট ৩১টি হাফসেঞ্চুরি হয়ে গেল। সমসংখ্যক হাফসেঞ্চুরি রয়েছে রোহিতেরও। তাঁদের পরে রয়েছেন বাবর আজম (Babar Azam)। পাকিস্তানের তারকার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৭টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে।


বুধবার কোহলির সঙ্গেই জ্বলে উঠলেন সূর্যকুমার যাদবও (Suryakumar Yadav)। শটের বৈচিত্রের জন্য যাঁকে বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি বলা হচ্ছে। মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন সূর্য। তৃতীয় উইকেটে কোহলি-সূর্যকুমারের পার্টনারশিপ ম্যাচের রং পাল্টে দিয়ে গেল। হং কংয়ের আঁটসাঁট বোলিংয়ে একটা সময় মনে করা হচ্ছিল ভারতের দেড়শো পেরনোও কঠিন হবে। কিন্তু তৃতীয় উইকেট পার্টনারশিপে সব হিসেব উল্টে গেল। ভারত প্রথমে ব্যাট করে তুলল ২ উইকেটে ১৯২ রান। তৃতীয় উইকেটে ৪২ বলে ৯৮ রান যোগ করেন কোহলি ও সূর্যকুমার।


৪৪ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত রইলেন বিরাট। তবে আরও বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন সূর্যকুমার। ২৬ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুম্বইয়ের তারকা। ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। 


 




টস জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হং কংয়ের অধিনায়ক নিজাকাত খান। রোহিত শর্মা আগ্রাসী ব্যাটিং করছিলেন। তবে ১৩ বলে ২১ রান করে ফেরেন তিনি। কে এল রাহুল ৩৬ রান করলেও তার জন্য নেন ৩৯ বল। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরই ম্যাচের রং পাল্টে দেন সূর্য ও কোহলি।


আরও পড়ুন: সামনে শুধু শাকিব, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক হলেন রশিদ