মুম্বই: আজ, মঙ্গলবারই মুম্বইতে বিসিসিআইয়ের সাধারণ বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সভাতেই পরবর্তী বিসিসিআই সভাপতি হিসাবে রজার বিনির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই সভাতে একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023)। পরের বছর পাকিস্তানে এশিয়া কাপের আসর বসার কথা। তবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারেই ভাল নয়। তাই পাকিস্তানে এশিয়া কাপে ভারত অংশগ্রহণ করবে কি না, সেই নিয়ে জল্পনা ছিলই। এবার এই নিয়ে বোর্ডের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন সচিব জয় শাহ (Jay Shah)। 


শাহের বিবৃতি


সাধারণ বার্ষিক সভা শেষে জয় শাহ জানান, 'আমরা নিরপেক্ষ স্থানে এশিয়া কাপ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' পরের বছর ৫০ ওভার ফর্ম্যাটে এশিয়া কাপ আয়োজিত হওয়ার কথা। তবে নিরপেক্ষ স্থানে এশিয়া কাপ আয়োজন কিন্তু নতুন কিছু নয়। এ বছরই শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলেও, রাজনৈতিক অস্থিরতায় তা সরিয়ে আমিরশাহিতে আয়োজন করা হয়। সেই টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তান দুইবার একে অপরের মুখোমুখিও হয়। আসন্ন বছরেও, তেমনই কোনও নিরপেক্ষ স্থানে এশিয়া কাপ আয়োজিত হবে কি না, সেটাই দেখার। প্রসঙ্গত, জয় শাহ ভারতীয় বোর্ডের সচিব হওয়ার পাশাপাশি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও সভাপতি।


সিএবি সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ?


বিসিসআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভাতেই সৌরভের পরিবর্তে বিনিকে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। সৌরভ শিবির অবশ্য তাকিয়েছিল তাঁকে আইসিসিতে পাঠানো হয় কি না, সেইদিকে। তবে, মঙ্গলবারের বৈঠকে এই নিয়ে কোনও আলোচনাই হল না। শুধুমাত্র আলোচনা হল আইসিসিতে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি হিসাবে কে যাবেন সেই নিয়ে। তা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও হয়নি। আইসিসির নির্বাচন নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর আগে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আইসিসির চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর। ফলে ভারতীয় বোর্ড থেকে আইসিসির চেযারম্যান পদে যে কেউ লড়বেন না, তা বলাই চলে। সেক্ষেত্রে বর্তমান চেয়ারম্যান জর্জ বার্কলেকে আরও একটি মেয়াদকাল (দুই বছর) সমর্থন করার পথেই হাঁটতে পারে বিসিসিআই। যে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল এবিপি লাইভ।


মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে সৌরভ অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন দাদার কী হবে। সৌরভ-ঘণিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল সিএবি সভাপতি (CAB President) পদেই লড়বেন তিনি। তাঁর আইসিসিতে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শেষ। সিএবি সভাপতি হিসাবেই পরের তিন বছর দেখা যেতে পারে সৌরভকে। সিএবিতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২২ অক্টোবর। মনে করা হচ্ছে তার মধ্যেই নিজের মনোনয়ন জমা দেবেন সৌরভ। সিএবিতে যতই সৌরভ বিরোধী হাওয়া বইতে শুরু করুক না কেন, সভাপতি পদে সৌরভ লড়াই করলে, বিনা প্রতিদ্বন্দিতা. তাঁর জয় নিশ্চিত। তবে বাকি পদে কারা থাকেন, সেই নিয়ে জোর জল্পনা।


আরও পড়ুন: