চেন্নাই: ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) দ্বৈরথ। সে রাজনীতির মঞ্চ হোক বা খেলাধূলো। ক্রিকেট হোক বা হকি। সবেতেই আলাদা উত্তেজনা, উন্মাদনা বহন করে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে ((Indian Hockey Team) মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান। আর মাঠের লড়াইয়ের আগেই স্নায়ুর যুদ্ধ যেন শুরু হয়ে গেল। ভারতে পা রেখেই হরমনপ্রীতদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে পাকিস্তান দলের হেডকোচ মুহাম্মদ সাকলিন জানিয়ে দিলেন যে ভারতের দুর্বলতা কোথায় তা জানে পাক শিবির। এক সাক্ষাৎকারে পাক কোচ বলেছেন, ''হরমনপ্রীত সিংহ ও অন্যান্য সেন্টার ফরোয়ার্ড যারা আছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই বিশ্বের অন্য়তম সেরা প্লেয়ার। কিন্তু এটাও ঠিক যে ভারতীয় দলের দুর্বলতা কোথায়। তা আমরা জানি। তবে আমাদের পুরো ম্যাচে বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতে হবে।''


নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিনকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ৭-২ গোলে চিনকে হারানোর পরের ম্যাচেই অবশ্য জাপানের সঙ্গে ড্র করেছিল ভারত। রবিবার মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিলেন হরমনপ্রীতরা। মালয়েশিয়াকে ৫-০ গোলে বিপর্যস্ত করল ভারতীয় দল। আর এই জয়ের ফলেই লিগ তালিকার একেবারে শীর্ষে চলে গেল ভারতীয় দল। কার্যত টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে চলে গেল ভারতীয় পুরুষ হকি দল।


নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর টুর্নামেন্টের ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়াকে (South Korea vs India) ৩-২ স্কোরলাইনে পরাজিত করল ভারতীয় পুরুষ হকি। এই জয়ের সঙ্গেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলল ভারত। এই ম্যাচে জয়ের সুবাদে চার ম্যাচে তিনটি জয় ও একটি ড্রয়ের সুবাদে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে পৌঁছে গেল ভারত। অপরদিকে, তিনটি ম্যাচ জিতলেও, একটি ম্যাচ হারায় মালয়েশিয়া নয় পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।


ব়্যাঙ্কিংয়ের বিচারে বিশ্বের চতুর্থ দল ভারত এদিন কিন্তু ম্যাচের শুরুটা কিন্তু ভালই করেছিল। ম্যাচের শুরুতেই সুখজিৎ সিংহের দুরন্ত পাস থেকে নীলকান্ত শর্মা ছয় মিনিটে ভারতকে এগিয়ে দেন। তবে কোরিয়াও হাল ছেড়ে দেয়নি। ম্যাচের ১২ মিনিটেই সমতায় ফেরে তারা। সুংহিউন কিম ভারতীয় রক্ষণের ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে কোরিয়াকে ম্যাচে ফেরান। কোরিয়ার আক্রমণাত্মক হকির জবাব ভারতও আক্রমণের মাধ্যমেই দেয়। ২২ মিনিটে ম্যাচের প্রথম পেনাল্টি কর্নার থেকে হরমনপ্রীত সিংহের ফ্লিক প্রতিহত হলেও, তিনি ফিরতি বল জালে জড়িয়ে ভারতকে আবারও ম্যাচে এগিয়ে দেন।


দ্বিতীয়ার্ধে হরমনপ্রীত পাস রুখতে অমিত রুহিদাস ব্যর্থ হন এবং কোরিয়া পেনাল্টি কর্নার পায়। তবে সেই কর্নার থেকে তারা গোল করতে পারেননি। উল্টে প্রতিআক্রমণে মনদীপ সিংহ গোল করে ভারতকে ৩-১ এগিয়ে দেন। ৪৭ মিনিটের মাথায় ভারত আরও এগিয়ে যেতে পারত, তবে হরমনপ্রীত পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগাতে পারেননি। পরবর্তী ১০ মিনিট কোরিয়া আক্রমণের ঝড় তোলে। আট-আটটি পেনাল্টি কর্নার পায় তারা। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ইয়াং জিহুন কোরিয়ার হয়ে ব্যবধান কমান বটে। তবে ম্যাচে সমতায় ফিরতে পারেনি তারা। শেষমেষ ভারতীয় দল পাঁচ বছর বাদে কোরিয়াকে হারাতে সক্ষম হয়।